ফেসবুক এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে সহজে টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৪

কিভাবে অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়ে বা পিসি দিয়ে সহজে টুকটাক টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা নিয়েই আজকের পোস্ট। টুকটাক টাকা কামানোর কথা বললাম কারন সহজে আপনি ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। মোটা অংকের টাকা কামাতে মোটা কঠিন কাজ করতে হয়, হোক তা অনলাইন বা অফলাইন। তো শুরু করি আজকের দিনে ফেসবুক দিয়ে টাকা কামানোর টিপস নিয়ে কথাবার্তা। ফেসবুক পেজ দিয়ে, লাইক দিয়ে, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার টিপস । 

ফেসবুক বিজনেস করে টাকা ইনকাম

এখন তো ধরতে গেলে সবার হাতেই মোবাইল আছে, নেট ও আগের চেয়ে অনেক বেশি ইউজ হয়। আর ফেসবুক এর কথা কে না জানে? আপনি চাইলে এই মোবাইল দিয়ে ফেসবুক এর মাধ্যমে টাকা কামাতে পারবেন। কিভাবে?
ফেসবুক বিজনেস করতে আপনাকে কিছু ব্যাসিক জিনিস জানা লাগবে। পেজ কিভাবে ক্রিয়েট করে গ্রুপ কিভাবে ক্রিয়েট করে , এগুলো কিভাবে দাড় করানো যায়। কিভাবে আপনার টার্গেট বায়ার খুজে পাবেন ইত্যাদি।আপনার কাজ হবে আপনি যে এরিয়ায় থাকেন সেই এরিয়ার বায়ারদের কে খুজে খুজে বের করা, আপনার আইডি তে , গ্রুপে তাদের এড করা।


বিরক্ত  করবেন না বরং চেষ্টা করবেন তাদের ভালো কিছু দেওয়ার জন্য তাহলে দেখবেন মানুষ এমনিই আপনার গ্রুপে জয়েন হচ্ছে। সব সময় আপু কিনেন ভাইয়া কিনেন করলে আপু ভাইরা পালাবে!!এজন্য আপনাকে আপনার বায়ারদের কাছে আপনার ভ্যালু তৈরি করতে হবে, মাঝে মাঝে নরমালি আপনার পণ্য এর বিজ্ঞাপন দিবেন।
পোশাক বিক্রি করেন কিংবা বই অথবা গহনা, যায় বিক্রি করেন না কেনো আপনাকে প্রথমে ঐ আপনার শহরের টার্গেট মানুষ খুজে বের করতে হবে সঠিক ভাবে। আপনি যদি চিটাগং থাকেন তাহলে ঐ শহর এর মানুষজন কে বেশি করে এড করুন। ৫০০০ হুদায় আম পাবলিক এড করার চেয়ে ৫০০ টার্গেট মানুষ এড করা বেশি ইফেক্টিভ!
প্রথম ধাপে একটা ভালো মানের পেজ বা গ্রুপ দাড় করিয়ে ফেলতে পারলে এবার বায়ারদের সাথে আপনার খেলা শুরু করুন। আপনি সব সময় বিজ্ঞাপন দিলে বায়ার বিরক্ত হবে তাই ভেবে চিনতে সময় বুঝে বিজ্ঞাপন দিবেন। মাঝে মাঝে আপনার বিক্রির পোস্ট ছাড়াও তথ্য মূলক পোস্ট ও দিবেন।

  1. যেমন ধরুন আপনি ড্রেস বিক্রি করেন , তাহলে আপনি পোস্ট দেন কিভাবে না ধুয়েও কাপড়ের ময়লা দূর করা যায়
  2. বাংলাদেশে প্রথম কাপড়ের কোম্পানি কোনটা
  3. সুতা কিভাবে তৈরি হয়, ইত্যাদি

এই ধরনের পোস্ট মানুষ গ্রহন করে বেশি, আর আপনার ক্রেতারা মনে করবে আপনি কাপড়ের ব্যাপারে এক্সপার্ট ফলে আপনার উপর তাদের বিশ্বাস বাড়তে পারে। আর স্বাভাবিক ভাবেই এসব লেখা লেখার জন্য স্টাডি করে আপনি কিছুটা হলেও এক্সপার্ট তো হচ্ছেন ই!!

ফেসবুক পেইড বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে বিজনেস 

আগে যেটা শেয়ার করলাম সেটা হল ফ্রি তে করা কাজ। যেহেতু ফ্রি তাই ঐভাবে কাজ করলে বেশি শ্রম ও সময় দিতে হয়।আর পেইডে করলে সময় শ্রম তুলনা মূলক কম যাবে কিন্তু টাকা খরচ করতে হবে ।আপনি সুন্দর করে পেজ তৈরি করুন, বিজনেস এর সব স্পস্ট রাখুন। বায়ার যাতে সহজে যোগাযোগ করতে পারে, নক দেওয়ার সাথে সাথে আপনাকে পায় এমন ব্যবস্থা রাখুন।এরপর ফেসবুক এ পেইড বিজ্ঞাপন দিন।
বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগে আপনাকে অনেক কিছু শিখতে হবে। ফেসবুক এ বিজ্ঞাপন দিয়ে সফল হতে হলে আগে আপনাকে বিজ্ঞাপন রিলেটেড ক্লাস করা উচিত। আর সেটা নিয়ে লিখতে গেলে আরেকটা পোস্ট হয়ে যাবে তাই এই পোস্টে সেটা লিখছি না। অন্য পোস্টে থাকবে।
খালি মনে রাখেন আপনি যদি সঠিক পণ্য নিয়ে সঠিক বায়ার কে টার্গেট করতে পারেন তাহলে ৫০ ডলার বিজ্ঞাপন দিয়ে ১০০ ডলার প্রফিট আনা কঠিন কিছু না।

বিশেষ ঘোষণাঃ কিছু ভালো ভাবে না জেনেই বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ করেই লাভের কথা চিন্তা করলে আপনার লস হবে আর সেই লসের জন্য আমি দায়ি না। আগে শিখুন পরে নামুন।

ফেসবুক এ কি নিয়ে বিজনেস করবেন?

  • পোশাক
  • স্পেশাল ডিজাইন এর জুতা
  • বোরকা
  • হিজাব
  • বই
  • আন কমন জুয়েলারি
  • হোম মেড খাবার
  • বিয়ে রিলেটেড কাস্টম জিনিসপত্র

অনলাইনে সফল হতে কি কি লাগবে?

নলেজঃ আপনি আপনার লাইফের ২৫ বছর ধরে লেখাপড়া করছেন একটা ২০ হাজার টাকার চাকরি করার জন্য! তাও লেখাপড়া শেষে কয়জন চাকরি পায়?সেই আমরাই যদি অনলাইনে এক বছর কিছু শিখতে সময় না দেয় আর আশা করি ৫০ হাজার টাকা কামাবো তাহলে ব্যাপারটা কেমন যুক্তিহীন হয়ে যায় না?অনলাইনে প্রচুর কম্পিটিশন, তাই এখানে টিকে থাকতে হলে আপনাকে এগিয়ে থাকতে হবে। রেগুলার নিজেকে আপডেট হতে হবে।
শ্রম ঃঅনেকে ভাবে অনলাইনে টাকা কামানো ডাল ভাত সহজ! কিন্তু বাস্তবতা হলো চাকরি ৮ ঘণ্টা ১২ ঘণ্টার হয় আর অনলাইন উদ্যোক্তা ধরতে গেলে ১৬/১৮ ঘণ্টা কাজ করে!!আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে।
টাকা ঃএকদম ফ্রি তে সব হবে না। অল্প হলেও টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। তবে বুঝে শুনে ইনভেস্ট করবেন।
নেটওয়ার্কিংঃআপনার ক্রেতা, আপনার মতই অন্য বিজনেস পারসন এদের সাথে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। 

ফেসবুক স্পন্সর এর মাধ্যমে টাকা কামানো

এটা সবার জন্য না। যাদের ফ্যান ফলোয়ার লাখ লাখ তাদের জন্য। তারা চাইলে তাদের পেজে কোন কিছুর বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা কামাতে পারে।

এফিলিয়েট করে টাকা ইনকাম

আপনার নিজের যদি পণ্য কেনা, বিক্রি করা এসবের সামর্থ্য বা সময় না থাকে তাহলে আপনি বড় কোন কোম্পানির এফিলিয়েট এর মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করে কমিশন ইনকাম করতে পারেন।
নিউজ প্রমট করে টাকা কামানোআপনার যদি ভালো ফলোয়ার সহ পেজ বা গ্রুপ থাকে তাহলে আপনার পেজে বিভিন্ন নিউজ সাইটের পোস্ট শেয়ার করার শর্তে সাইটের মালিকের থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করবেন? 

আজকের পোস্টে আপনাদের দেখাবো আপনারা কিভাবে অ্যাফিলিয়েট  এর লিংক শেয়ার করে কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। তালিকায় থাকা বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে কিছু সহজ কিছু একটু টাফ।তবে ভালো খারাপ সনব দিক দেখে সিদ্ধান্ত নিলে বুঝতে সহজ হবে। 

আমি চেষ্টা করছি নতুনদের জন্য সহজে, কম টাকায় করা সম্ভব এমন কিছু তুলে ধরতে। 

ভিডিও

আপনি যদি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে দ্বিধা না করেন  এবং আপনি কথা বলতে পারেন, তবে ভিডিও এর মাধ্যমে লিঙ্কগুলিকে প্রচার করার একটি অন্যতম উপায়।

মানুষ এখন কিছু কেনার আগে ভিডিও দেখে সেই পণ্য টা কেমন কিভাবে ইউজ করে এসব দেখে। 

আপনি যদি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে দ্বিধা করেন না এবং আপনি কথা বলতে পারেন, তবে ভিডিও সামগ্রীটি অনুমোদিত লিঙ্কগুলিকে প্রচার করার একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনি একটি টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে এবং এটিতে সেই পণ্যটির এটি প্রদর্শন করতে পারেন। বা আপনি কীভাবে পণ্যগুলি কাজ করেন বা কীভাবে তাদের এটি করা উচিত তা আপনি প্রদর্শন করতে পারেন 

পডকাস্ট বা আডিও 

বাংলাদেশে যদিও পডকাস্ট এখনো তেমন পরিচিত না। কিছু লেখক , মারকেটার আর কিছু টেক পাবলিক ছাড়া এটা তেমন অন্যদের কাছে পরিচিত না হলেও বাইরের দেশে পডকাস্ট বেশ পরিচিত।আপনি পডকাস্ট এর মাধ্যমেও লিংক প্রমট করতে পারেন।

সামাজিক মাধ্যম

সামাজিক নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে কোন কিছুর প্রচারনা চালানো অন্যতম সহজ। তবে বেশি সহজ হওায় এর বেশ কিছু অসুবিধাও আছে। ফ্রি তে প্রমট করতে গিয়ে স্পাম করলে ফেসবুক টুইটার এখন আরামে ব্লক করে দেয়।

ব্লগিং

ব্লগ হ’ল অনুমোদিত পণ্যগুলির প্রচারের সর্বোত্তম উপায়, তবে ব্লগের মাধ্যমে প্রচার করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে এবং এর উপর আমরা সমস্ত পদ্ধতি সম্পর্কে জানব 

ব্লগের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রচারের জন্য উপায় রয়েছে যার মধ্যে প্রথমটি ব্লগ পোস্ট, দ্বিতীয়টি হ’ল  ব্লগ ব্যানার। অর্থাৎ ব্যানার এডে লিংক শেয়ার করা। 

রিভিউ পোস্ট 

আপনি যে পণ্যগুলি প্রচার করতে চান সে সম্পর্কে আপনি একটি রিভিউ ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন, এই পোস্টে আপনি আপনার প্রডাক্ট এর ভালো খারাপ দিক তুলে ধরবেন। 

এই ধরণের ব্লগ পোস্টে আপনাকে পণ্য সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য লিখতে হবে যাতে ব্যবহারকারীর পণ্যগুলির বৈশিষ্ট্য, উপকারিতা, দামের সুবিধাগুলি থেকে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায় এবং ব্যবহারকারী যদি এটি পছন্দ করে তবে ব্লগ পোস্টে দেওয়া অনুমোদিত লিঙ্কে ক্লিক করে পণ্য কিনতে।

লিস্ট পোস্ট 

এমন ধরনের পোস্টে আসলে একই ক্যাটাগরির বিভিন্ন কোম্পানির প্রডাক্ট এর তালিকা দেওয়া হয়। এর সাথে কোন কোম্পানির পণ্য টা ভালো হবে খারাপ হবে এসব সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়। 

উদাহরণ স্বরূপ 

আপনি যদি ৫ টি মাইক্রোফোন এর তালিকা  করেন তবে এখানে আপনি আপনার ব্লগ পোস্টে প্রায় 5 টি বিভিন্ন মাইক্রোফোন এর লিস্ট দিবেন এবং এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেবেন পাশাপাশি সমস্ত পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করবেন যাতে কোনও ব্যবহারকারী এতে ক্লিক করে কিনতে পারে। 

How To Post

এই ধরণের ব্লগ পোস্টে আপনি কীভাবে আপনার ব্যবহারকারীর সমস্যা সমাধান করবেন তা বোঝায়, কিছু কাজ কীভাবে করবেন, তারা এবং সেই কাজটি করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বা পণ্যগুলিও বলে। 

যেমন একজন ভিডিও মেকার স্টুডিও তৈরি করতে কি কি লাগবে , টুলস গুলো কোথায় থেকে কিনবে এসব বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সাথে টুলস গুলোর লিংক দিয়ে দেওয়া হয়। 

ব্লগে ব্যানার 

ব্লগটি দেখার সময় আপনি প্রায়শই দেখেছেন যে ব্লগের পাশে ব্যানার বা লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, আসলে এই ব্যানারগুলি অনুমোদিত পণ্যগুলি থেকে। ব্লগাররা সাইডবারে অ্যাফিলিয়েট পণ্যগুলির ব্যানার বা লিঙ্কগুলি দেখায়। এমন এড থেকে ইনকাম করা সহজ অন্য গুলোর চেয়ে। 

ইমেল তালিকা

আপনি যদি একজন ব্লগার হন, তবে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে যে ইমেল তালিকার মাধ্যমে ভালো কমিউনিটি তৈরি করা যায়। বায়ার খুজে পাওয়া যায়। 

তারা সরঞ্জামগুলি সম্পর্কে জানতে পারে এবং আপনার অনুমোদিত লিঙ্কগুলি থেকে পণ্যটি কিনতে পারে। ইমেল মার্কেটিং করেও বেশ ভালো মানের অ্যাফিলিয়েট  বা প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। 

Leave a Comment