ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়। ছেলে মেয়ে উভয়ের ত্বকের যত্ন (বুলেট টিপস)

আজকে আমি আপনাদের কাছে জানাবো ছেলে মেয়ে উভয়ের ত্বক ফর্সা করার কার্যকরী পদ্ধতি সমূহ। প্রায় ২০টির বেশি ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় এখানে দেওয়া আছে। যার কাছে যেটা সহজ মনে হবে এবং যার যার ত্বকের সাথে মিলবে সে সেটা ইউজ করবেন।

যত্নে রত্ন মিলে। কথাটা কিন্তু সত্যি। আপনি যে জিনিস টা যত্নে রাখবেন যত্ন করবেন তা ভালো থাকবে।যে জিনিস অবহেলা তে থাকে তা ভালো থাকেনা বা সুন্দর থাকেনা।তেমনি নিজের ত্বকের যত্ন নিয়মিত নিলে একটি হেলদি স্কিন খুব সহজেই আপনি পেতে পারেন।

কিন্তু আপনি যদি নিজের ত্বকের যত্ন না নিয়ে দিনের পর পর অবহেলা করেন তাহলে আপনার ত্বক হয়ে যাবে রুক্ষ, ডেমেজ,ব্রণ,মেছতা তে ভরা।গায়ের রঙ আমাদের জন্মগত।আমরা কেউ আমাদের গায়ের রঙ নিজেদের পছন্দ মতো নিয়ে জন্মাই না।কেউবা ফর্সা,কেউবা শ্যামলা আবার কেউবা কালো।অনেকের গায়ের রঙ ফর্সা হওয়া স্বত্তেও ধুলাবালি রোদে তা কালো বা শ্যামলা হয়ে যায়।

ঘরে বসে ত্বক ফর্সা করার উপায় সমূহ।


ফর্সা ত্বক কে না পেতে চায়?

কিন্তু ফর্সা ত্বক পেতে চাইলেই তো আর হবেনা।ফর্সা ত্বকও কালছে হয়ে যায় অবহেলায় আর অযত্নে। আর অনেক কালো আর শ্যামলা স্কিন ও যত্নে, রুপচর্চায় গ্লোয়িং আর ফর্সা হয়ে ওঠে।


ফর্সা ত্বক আপনি ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই পেতে পারেন। তবে ত্বক ফর্সা, হেলদি,গ্লোয়িং পেতে চাইলে কেবল রুপচর্চা করলেই হবেনা।তার সাথে কিছু নিয়ম মানতে হবে।অনিয়মের ভিতর থেকে আপনি কোন ভালো ফলাফল আশা করতে পারেন না।তাই আপনাকে আগে কিছু নিয়ম মানতে হবে তারপর রুপচর্চা।


ফর্সা ত্বক পাবার জন্য প্রথমে আপনার খাদ্যভাস, ঘুম,কাজ এগুলো রুটিন মাফিক করতে হবে।আপনি সব রকম প্রসাধনী রাত দিন ব্যবহার করলেন কিন্তু ঠিক মতো ঘুমালেন না, খেলেন না তাহলে কি করে আপনি ফর্সা ত্বক পাবেন???

ত্বক ফর্সা করার প্রাথমিক শর্তবলি

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমঃঘুম শরীরের জন্য অনেক বেশি জরুরি। ২৪ ঘন্টার ভিতর মিনিমাম ৬-৭ ঘন্টা একটানা ঘুমানো উচিত। রাত জাগা মোটেই উচিত নয়।বেশি রাত জাগলে স্কিন ড্যামেজ হয়ে যায়। চোখের নিচে কালো দাগ পরে,স্কিন কালো হয়ে যায়।তাই আপনার স্কিন ভালো রাখতে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।

প্রচুর পরিমাণে পানি করা

পানির অপর নাম জীবন আর এই পানি কেবলমাত্র আমাদের জীবনই বাঁচায় না এর পাশাপাশি আমাদের শরীরের ত্বকও সুরক্ষা করে।ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।দিনে মিনিমাম ৪-৫ লিটার পানি অবশ্যই পান করা উচিত।

সপ্তাহে একদিন ত্বকের যত্ন

সপ্তাহে একদিন অনন্ত নিজের যত্ন নিন।আপনি যদি দিনের পর দিন নিজের যত্ন না নেন।ত্বকের পরিচর্চা না করেন তাহলে আপনার ত্বক কালো হয়ে যাবে। তাই ব্যস্ততার ভিতরেও নিজের জন্য সপ্তাহে একদিন সময় রাখুন।

সপ্তাহে একদিন অবশ্যই স্ক্রাব করুন,মাসে দুইবার / একবার ফেসিয়াল করুন এতে আপনার স্কিনের রক্ত সঞ্চলন বাড়িয়ে দিবে আর স্কিন ফর্সা করতে সাহায্য করবে।ফেস প্যক, ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন।

রাতে ত্বকের যত্ন

সারাদিন যেমন তেমন।আর আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন।রাতে আপনার ত্বকে সারাদিনের ধুলা – বালি,ময়লার সাথে আপস করতে দিবেন না।
তাহলে আপনার স্কিন খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে বুড়িয়ে যাবে,ট্যান পরবে।তাই রাতে ঘুমাতে যাবার আগে মুখ ভালো ভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে।


সব থেকে ভালো হয় ক্লিনজিং করে নিলে।সামাণ্য পরিমাণ গোলাপজল একটি টিস্যু প্যাডে নিয়ে তা দিয়ে আপনার মুখ মুছে নেওয়া তারপর আপনার স্কিনে স্যুট করে এমন একটি ফেস ওয়াশ ব্যবহার করা।


আপনি আপনার স্কিনের বাড়তি যত্ন না নিতে পারলেও প্রতিদিন এই নিয়ম গুলো অবশ্যই রুটিন হিসেবে রাখবেন তাহলে আপনার স্কিন সহজে ড্যামেজ বা কালো হয়ে যাবে না।


এতোক্ষণ আপনাদের ত্বক হেলদি রাখতে ফ্রেশ রাখতে বেসিক কিছু ধারণা দিলাম।কারণ আপনি বিভিন্ন স্কিন কেয়ার করছেন কিন্তু আপনার ঘুম,খাওয়া, সব কিছু অনিয়মের ভিতর তাহলে আর আপনি কোন স্কিন কেয়ারে ভালো ফলাফল পাবেন না।


আর ফর্সা মানেই যে সুন্দর ব্যাপার টা এমন না।ফ্রেশ, হেলদি,দাগ মুক্ত স্কিন একটা ফর্সা আনহেলদি স্কিনের থেকে ভালো। তবে অযত্নের ফলে আপনার ফর্সা ত্বকও কালো হয়ে যেতে পারে আবার যত্নের ফলে আপনার কালো, শ্যামলা স্কিন করে তুলতে পারেন ফর্সা।


ঘরোয়াভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়ঃত্বকের যত্নের জন্য পার্লারে যেয়ে মোটা টাকা খরচ করতে হবে এ ধারণা একদমই ভুল।ঘরে বসেই প্রকৃতিক আর ঘরোয়া উপাদান দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।

ন্যাচালার স্ক্রাব স্কিন কেয়ার

মুখের ময়লা তুলার জন্য সপ্তাহে একদিন অবশ্যই স্ক্রাব করবেন।মুখের ময়লা গুলো লোমকুপে জমে মুখে ব্রণ,এলার্জি সহ বিভিন্ন দাগ ও মেছতা পারে যায়। এজন্য স্ক্রাব খুবই জরুরি। মধু, লেবু,চিনির স্ক্রাবঃএক/দুই চামচ মধু,এক চামচ লেবুর রস,এক চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন।

টমেটো, কফি, চিনির স্ক্রাব দিয়ে ত্বকের যত্ন

টমেটো মাঝ বরাবর গোল করে কেটে তাতে কাটা চামচ দিয়ে দুই তিন টা ছিদ্র করে কফি আর চিনি ঢুকিয়ে মুখে ভালো ভাবে আলতো মেসেজ করে স্ক্রাব করে নিন।তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।


চালের গুড়া,দুধ /চালের গুড়া, টক দইঃচালের গুড়া আর টক দই মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। প্যাকটি যেন খুব বেশি পাতলা বা খুব বেশি শুকনো না হয়।


স্ক্রাব করার সময় মুখ বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না।তাতে স্কিনের ক্ষতি হতে পারে। আলতো হাতে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

ত্বক ফর্সা করার কিছু ফেস প্যাক

সপ্তাহে মিনিমাম দুই দিন ফেস প্যাক ব্যবহার করা উচিত।একভাবে একই ফেসপ্যাক ব্যবহার না করে কয়েকদিন পর পর ফেস প্যাক চেঞ্জ করা উচিত যাতে করে স্কিনের উপকারি সব উপাদান স্কিনের ভিতর পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।

রাতে ত্বকের যত্ন – টমেটো,লেবু

টমেটো স্কিন ফর্সা করতে খুবই কার্যকারি একটি উপাদান।১/২ টি টমেটো ব্লেন্ড করে তার সাথে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে পুরো মুখে দিয়ে ১৫/২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।টমেটো ব্লেন্ড করতে ঝামেলা মনে হলে বা সময় না পেলে একটি টমেটোর মাঝখানে কেটে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে সারা মুখে ঘষে নিতে পারেন।

টমেটো,এ্যালোভেরা জেল

টমেটো পেষ্টের সাথে এ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট মুখে দিয়ে তারপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

টমেটো,হলুদ

একটা টমেটো পেস্টের সাথে এক চিমটি হলুদ গুড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি রেগুলার ব্যবহার করলে স্ক্রিন খুব দ্রুত ফর্সা হবে এবং স্কিন খুব উজ্জ্বল হবে।

টমেটো, চন্দন গুড়া,হলুদ গুড়া

টমেটো রসের সাথে চন্দন পাউডার আর একনচিমটি হলুদ মিস্ক করে ফেস প্যাক বানিয়ে সারা মুখে দিয়ে ১৫/২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে ধুয়ে নিতে হবে।


পেঁপেঁ,মধুঃপাকা পেঁপেঁ পেষ্ট করে তার সাথে এক চামচ মধু মিক্স করে প্যাক বানিয়ে ব্যাবহর করতে পারেন। পেঁপেঁ স্কিনের ময়লা দূর করে স্কিন ফর্সা করতে সাহায্য করে।

রুপচর্চায় ডিম

রুপচর্চায় ডিম খুবই কার্যকারি।বাজারে বিভিন্ন ধরনের এগ মাস্ক পাওয়া যায় যা খুবই জনপ্রিয়।তাই রুপচর্চাতে ডিম বাদ দেওয়া যাবে না। একটি ডিমের কুসুম ভালো ভাবে ফেটিয়ে সারা মুখে ভালো ভাবে প্রলেপ দিয়ে নিতে হবে।তারপর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

গোলাপ পানি, লেবু মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়

গোলাপ জল রুপচর্চার জন্য প্রধান উপাদান।গোলাপ জল,মধু,লেবু এক সাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এটাও ত্বক ফর্সা করার খুব কার্যকারি একটা প্যাক।

টকদই,মধু,লেবু দিয়ে রূপচর্চা

দুই চামচ টক দই,এক চামচ মধু,এক চামচ লেবুর রস দিয়ে হোয়াইটেনিং প্যাক তৈরি করে নিন।টকদই স্ক্রিনের ময়লা দূর করতে স্কিন ব্রাইট করতে সাহায্য করে।

এ্যালোভেরা জেল,গোলাপজল,হলুদ গুড়া

এ্যালোভেরা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে ভিতর থেকে জেল বের করে তার সাথে গোলাপ জল, হলুদ গুড়া মিক্স করে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক স্কিনর দাগ দূর করতে সাহায্য করবে,ত্বক উজ্জ্বল করবে।

আলুর পেস্ট

আলুর রস বা আলুর পেস্ট স্কিনে ন্যাচারাল ব্লিচিং এর মতো কাজ করে।একটি আল পরিস্কার করে ধুয়ে পেস্ট করে মুখে দিয়ে ১৫/২০ মিনিট পর্যন্ত রাখতে হবে।

গুড়া দুধ,লেবু,মধু । ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

গুড়া দুধ স্কিন হোয়াইটিং এর জন্য খুব ভালো কাজ করে।২চামচ গুড়া দুধ,দুই চামচ লেবুর রস,এক চামচ মধু ভালো ভাবে মিক্স করে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।এই প্যাক স্কিন ব্যাইট করতে খুব সাহায্য করে।

কলা,দুধ

পরিমাণ মতো কলা নিয়ে (যতটুকু আপনার দরকার)তার সাথে দুধ মিক্স করে নিতে হবে।কলা ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে তাহলে খুব বেশি কাজ করবে।কলা আর দুধের ফেস প্যাক ত্বক ফর্সা আর উজ্জ্বল করতে খুব উপকারী।

টকদই, লেবুর রস

২চামচ টকদই এর সাথে ১চামচ লেবুর রস মিক্স করে ফেস প্যাক তৈরি করে মুখে ২০/২৫ মিনিট রেখে ঠান্ড পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

ত্বক ফর্সা করতে ডাবের পানি ব্যবহার

ডাবের পানি মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে সেই সাথে ত্বক ফর্সা উজ্জ্বল করে।সপ্তাহে দুউ,তিন দিন ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় – চন্দন প্যাক

চন্দন পাউডার ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকে চন্দন পাউডার পানি দিয়ে গুলিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে করে ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে ত্বক ফর্সাও হবে।

কালো ত্বক ফর্সা করার উপায় – বেসনের প্যাক

ছোলার বেসন টক, লেবুর রস দিয়ে মিক্স করে ব্রাইটিং প্যাক তৈরি করা যায়। আবার বেসন,গোলাপজল দিয়ে ও প্যাক তৈরি করা যায়। বেসনের সাথে মুলতানি মাটি মিক্স করে টক দই বা তরল দুধের সাথে দিয়েও তৈরি করা যায়।

মুলতানি মাটি

মুলতানি মাটি ত্বকের কাৰো দাগ দূর করে,তৈলাক্ত কমায়,ত্বক উজ্জ্বল করে। ২/৩ চামচ মুলতানি মাটি,কাঁচা দুধ,হলুদ গুড়া,মধু মিক্স করে ১০/১৫ মিনিট রেখে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। কাঁচা হলুদ ত্বকে এ্যান্টিবায়োটিক হিসাবেও কাজ করে।

দুধ,শুকনো কমলার খোসা

কমলার খোসা মুখ ফর্সা করতে অনেক সাহায্য করে। কমলার খোসার গুড়া আপনি ঘরে বসে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন। কমলার খোসা পরিস্কার করে একটি পাত্রে রেখে কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে তারপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ডরকরে নিতে হবে আপনি চাইলে হুড়া গুলো একটু ছাকনি দিয়ে ছেকে নিতে পারেন তাহলে মিহি দানা বের হয়ে যাবে।


কমলার খোসা গুড়া আর কাঁচা দুধ মিক্স করে ব্রাইটিনিং প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন।ঘরোয়া ভাবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ফর্সা হতে চাইলে অবশ্যই রেগুলার ভাবে ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন।

আপনি যদি উপরে উল্লেখ করা ফেস প্যাক গুলো বানাতে না পারেন বা সময়ের অভাব থাকে তাহলে কম খরচে ( ৫০/১০০) টাকা দিয়ে আমাদের থেকে কিনে নিতে পারেন।

আমাদের পেজের লিঙ্কঃ স্কিন কেয়ার জোন


ঘরোয়া ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার অনেকের সময় নেই।বিশেষ করে যারা ঘরের বাইরে কাজ করেন তাদের।আবার সময় নেই তাই বলে তো রুপচর্চা থেকে তো দূরেরও থাকা যায় না।তাই যারা সময়ের অভাবে ফর্সা হতে ক্রিম ব্যবহার করতে চান তারা পোস্টের এইসব ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।


ফর্সা হবার ক্রিম গুলো সবই রাতে ব্যবহার করার জন্য হয়ে থাকে।কারণ দিনের আলোতে এসব ক্রিম ব্যবহার করলে রোদের আলোতে ক্রিমের কোন কার্যকারি ক্ষমতা কাজে লাগেনা বরং ত্বকের ক্ষতি করে আবার স্কিন কেয়ারের জন্য রাতে বেশি উপযোগী রাতে ত্বক রিলাস্ক থাকে।


নিচে যেসব ক্রিমের নাম দেওয়া হচ্ছে তার সব গুলোই নাম করা ক্রিম।আপনারা আপনাদের স্কিন টাইপের সাথে মিলিয়ে ব্যবহার করবেন।

ত্বক ফর্সা করার ক্রিম বা ঔষধ তালিকা

  1. Olay Natural White
  2. Himalaya Revitalizing Night Cream
  3. Lotus Herbals Nutranite Night Cream
  4. Loreal Pars White Perfect Night Cream
  5. Lotus Herbals White Glow
  6. Wow Fairness Cream
  7. Lakme Absolute Perfect Residence
  8. Garnier Light Complete

Olay Natural White:

এই ক্রিম ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।রাতে মুখ পরিস্কার করে ধরে ব্যবহার করতে হবে।

Himalaya Revitalizing Night Cream

এই ক্রিম সব ধরনের স্কিন টোনে ব্যবহার করা যাবে।রাতে শোবার আগে ক্রিম মুখে লাগিয়ে নিতে হবে।সকালে উঠে আবার মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

Lotus Herbals Nutranite Night Cream

এই ক্রিম অয়েলি স্কিনের জন্য বেশি কার্যকারি।অয়েল কনট্রোল করে ফর্সা করতে সাহায্য করে। রাতে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ক্রিম লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। সকালে আবার মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।

Loreal Pars White Perfect Night Cream

এই ক্রিমটা একটু পাতলা ধরনের। তবে এই ক্রিমের কার্যকারিতা বেশ উপকারী। এই ক্রিম ব্যবহারে মেছতা চলে যায়। স্কিন ফর্সা করে। স্কিনের দাগও রিমুভ করতে সাহায্য করে।

Lotus Herbals White Glow

এই ক্রিমটি জাফরানের নির্যাস দিয়ে তৈরি। স্কিন ফর্সা করতে সাহায্য করে কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়াই। এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে আপনি আপনার স্কিন ফর্সা করতে পারবেন।

Wow Fairness Cream

ত্বক ফর্সা করতে এই ক্রিমটি খুবই জনপ্রিয়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ইউভি থেকে তককে রক্ষা করে। সানটান রিমুভ করে।

Lakme Absolute Perfect Residence

ফর্সা হওয়ার ক্রিমগুলোর ভিতরে ল্যাকমির এই ক্রিমটি অনেক উপকারী। নিয়মিত ব্যবহারে আপনি খুব সহজেই ন্যাচারাল ফর্সা স্কিন পাবেন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে ব্যবহার করতে হবে।

Garnier Light Complete

গার্নিয়ার লাইট কমপ্লিট ক্রিমটি লেবুর নির্যাস দিয়ে তৈরি। যা স্কিন কে ন্যাচারাল গ্লো করতে সাহায্য করে।এই ক্রিমটি মেয়েরা খুব বেশি পছন্দ করে ।

রূপচর্চায় বিশেষ সতর্কতা

উপরের ফর্সা হবার ক্রিম গুলো কোনটাই বাংলাদেশের নয়।তাই আপনি ক্রিম গুলো কেনার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন।কেননা বাংলাদেশে অনেক নকল নাইট ক্রিম রয়েছে। নকলের ভিড়ে আসল খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল।


আর এটি যেহেতু ত্বকের ব্যাপার তাই আপনি আপনার ত্বকে কিছু ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিবেন যেটি ব্যবহার করছেন সেটি আসল ক্রিম কিনা। সবচেয়ে ভালো হয় রাসায়নিক এসব ক্রিম ইউজের চেয়ে ঘরোয়া উপাদানে তৈরি ক্রিম গুলো ব্যবহার করা।


আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ দেন তাহলে দেখতে পাবেন বড় বড় এসব কোম্পানির সব গুলোর বিরুদ্ধেই অভিযোগ আছে এরা এমন সব রাসায়নিক উপাদান ইউজ করে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্যান্সারও হতে পারে।


আপনি যদি ঘরে বানানো ফেস প্যাক ইউজ করেন, নিজে নিজে লেবু, মধু এসব দিয়ে ত্বকের যত্ন নেন তাহলে হইতো ৩মাসের জায়গায় ৬মাস সময় লাগবে স্কিন আরো ফর্সা হতে আরো মোলায়েম হতে কিন্তু এই পদ্ধতি আপনার ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং খরচ ও কম।


রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায় যেগুলো আছে সব গুলোই রিস্কি। একটা কথা মনে রাখেন রাতারাতি ফর্সা হতে গিয়ে যদি আপনার ত্বক ই জ্বলে যায় কিংবা চামড়ার কোন রগ হয় সেটা কি আপনার এখনের শ্যামলা বা কালো ত্বকের চাইতে ভালো হবে?


আপনি যেমন আছেন তেমন ই থাকেন। জাস্ট নিজের তকএর যত্ন নিন। দেখবেন এতেই স্কিন গ্লো করছে। অনেক সময় সাদা ত্বকের চাইতে শেম্লা কালো ত্বকও সুন্দর লাগে। ফর্সা মানেই সুন্দর হলে রাশিয়ান সব মেয়েই সুন্দর হতো! যদিও তেমন হয় না।

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় দিয়ে আপনি রেগুলার যত্ন নিন দেখবেন ঘরে বসে বানানো এসব উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন করেই কালো ত্বক ফর্সা করার উপায় বুঝে যাবেন। ত্বক ফর্সা করার ক্রিম বা ঔষধ লাগবে না।


আগেই যেমন বলেছি, স্কিনের জন্য বেশিরভাগ ফেস প্যাক ই রাতে ত্বকের যত্ন নিতে ইউজ করা হয়। যেহেতু দিনের বেলা বাইরের রোদ, ধুলাবালি এসব থাকে তাই রাতে ত্বকের যত্ন নিতে এগুলো ব্ব্যহার হয়। মুখ ফর্সা করার উপায়

ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার উপায়

ছেলেদের ত্বকের যত্ন মেয়েদের মত না। আপনি চন্দন ফেস প্যাক আর মাঝে মধ্যে স্ক্র্যাবার ব্যবহার করবেন। চন্দন আপনার ত্বককে টাইট করবে আর স্ক্র্যাবার ত্বকের মরা টিস্যু তুলে ফেলে ফর্সা উজ্জল হতে সাহায্য করবে।স্ক্র্যাবার হিসাবে মধু চিনি এসব দিয়ে বানানো প্যাক ইউজ করতে পারেন।


ছেলেদের সুন্দর হওয়ার জন্য অন্যতম দ্রুত পদ্ধতি হলো দাড়ি রেখে দেওয়া। আপনি দাড়ি রাখলে এমনিতেই Menly একটা লুক চলে আসবে। দাড়ির যত্ন নিবেন, ত্বকের টুক টাক যত্ন নিবেন, সিগারেট বাদ দিবেন যাতে ঠোঁট জঘন্য হয়ে না যায়। উজ্জ্বল ত্বকে কুচকুচে কালো ঠোঁট একেবারের খারাপ দেখাবে!

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বক কালো হয় কেনো? ফর্সা হওয়ার আগে আমাদের এটা বুঝা উচিৎ আমাদের স্কিন কালো কেন হয়? কেন অনেকের স্কিন ফর্সা হয়? 
আসলে যাদের ত্বকে মেলানিন নামক উপাদান বেশি থাকে তাদের ত্বক কালো হয়। এই মেলানিন যদি কমানো যায় তাহলে কালো ত্বক ফর্সা হয়। এজন্য দেখবেন অনেক চামড়া ব্যবসায়ী ( নায়িকা) ব্যবসা শুরুর দিকে কিছুটা শ্যামলা/ অল্প ফর্সা থাকলেও সময় যেতে যেতে তারা একদম কানাডিয়ান ফর্সা হয়ে যায়! কিভাবে?


তারা পতিতা পেশার মাধ্যমে, মুভি থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে তাদের দেহের মেলানিন কমাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। এটা যেমন ব্যয়বহুল তেমনি বিপদজনক।
তবে আপনি এমন খাবার খেতে পারেন যেগুলো মেলানিন কমাতে সাহায্য করে। একদিকে খাবার খাবেন অন্যদিকে ফেস প্যাক দিয়ে যত্ন নিবেন। এভাবে করলে আশা করা যায় আপনার ত্বক বিদেশি!! দের মত ফর্সা না হলেও অনেক ফেয়ার আর গ্লো হবে। 

  1. ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
  2. ত্বকের যত্ন
  3. কালো ত্বক ফর্সা করার উপায়
  4. ত্বক ফর্সা করার ক্রিম
  5. ত্বক ফর্সা করার ঔষধ
  6. রাতে ত্বকের যত্ন
  7. মুখ উজ্জ্বল করার উপায়
  8. মুখ ফর্সা করার উপায়
  9. ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার উপায়
  10. ত্বক ফর্সা করার উপায়
  11. ত্বক উজ্জ্বল করার উপায়
  12. শীতে ফর্সা হওয়ার উপায়
  13. কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
  14. স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়
  15. গায়ের রং ফর্সা করার সহজ উপায়
  16. তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়
  17. মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়
  18. ত্বক ফর্সা করার সবচেয়ে ভালো ক্রিম

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়?

আসলে স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে আপনাকে রেগুলার ত্বকের যত্ন নিতে হবে। একটা ক্রিম ইউজ করেই রাতারাতি ফর্সা হয়ে যাবো আর Game Finish এমন ভাবা ঠিক না। আপনি নিয়মিত ভাবে স্কিন কেয়ার করলে আশা করা যায় ১ বছরের মধ্যে ভালো রেজাল্ট পাবেন। ১ বছর অনেক সময়? আসলেই কি তাই?

গায়ের রং ফর্সা করার সহজ উপায়

গায়ের রং ফর্সা করা বলতে ফুল বডি ফর্সা করার কথা বলছেন?এমন হলে আপনি উপরে দেওয়া পদ্ধতি গুলোই সারা দেহে ম্যাসাজ করে শুয়ে থাকবেন। ফুল বডির জন্য করলে পরিমানে বেশি লাগবে, খরচ বেশি হবে এবং সময় লাগবে বেশি। তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার জন্য রোদে কম যাবার চেষ্টা করবেন। মুখে বরফ দিবে, শসা দিবেন। ৫ বেলা অজু করা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
ত্বক ফর্সা করার সবচেয়ে ভালো ক্রিম?জানি না ভাই!!

Leave a Comment