ফেসবুক বিজনেস টিপস - পেজ গ্রুপ পোস্ট
কোর্সের ১০টি ক্লাসের ১০টি বুলেট পয়েন্ট
১। পেজের রিচ বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন সুন্দর সুন্দর মিনিমাম ২/৩টা পোস্ট করতে হবে । সেল পোস্ট এর পাশা পাশি ভাল শিক্ষণীয় গল্প, সুন্দর ছবি এসব ও শেয়ার করবেন মাঝে মাঝে। অহেতুক পোস্ট, আন ইসলামিক ছবি, লেখা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবেন।
২। গ্রুপের পোস্টের রিচ বৃদ্ধি করতে গ্রুপ গুলোতে এক্টিভ থাকবেন। অনেক গ্রুপে লাফালাফির চেয়ে বেছে বেছে কয়েকটা গ্রুপে বেশি একটিভ থাকবেন। গ্রুপে সেলার হিসাবে না থেকে বরং সাহায্যকারী হিসাবে থাকবেন। অন্যদের হেল্প করবেন, ভাল ব্যবহার করবেন। অন্যদের সাথে ঝগড়া তর্ক এসব এড়িয়ে চলবেন। রুলস মেনে চলবেন তবে এডমিন মোডারেটরদের বেশি তেল দিতে যাবেন না। নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখবেন। প্রোডাক্ট সেল করতে গিয়ে নিজেকে সেল করে দিবেন না।
৩। কি নিয়ে বিজনেস করবেন? কোন ধরনের প্রোডাক্ট? এই প্রশ্নের উত্তর হলো আপনি কোন ব্যাপার নিয়ে ভালো জানেন। কেউ ভাল খাবার বানাতে পারে কেউ পোশাক সম্পর্কে ভালো জানে বুঝে আবার কেউ বিভিন্ন গেজেট নিয়ে জানে। একেকজন এর পছন্দের ফিল্ড একেকরকম। আপনি যেটা নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন, যেটা নিয়ে দিনের পর দিন কাজ করলেও বোর হবেন না এমন কিছু নিয়ে শুরু করুন।
৪। কোর্সে বিজনেসের জন্য বিভিন্ন এপের ব্যবহার দেখানো হয়েছে। Canva, Pixel Lab এসব এপের কাজ আরো জানতে বুঝতে ইউটিউবে টিউটোরিয়াল আছে সেগুলো দেখতে পারেন। ভালো টিউটোরিয়াল গুলো দেখবেন।
৫। বিজনেসের পরিচিতি বাড়াবেন কিভাবে?
আমরা এই ক্লাসে আলোচনা করেছিলাম আপনার বিজনেসের নাম দিয়ে প্রিন্ট করা ব্যাগ, ব্যানার, পোস্টার, স্টিকার এসব নিয়ে। আপনার জন্য যেটা সহজ এবং আপনার বাজেটের মধ্যে সম্ভব সেটা ট্রাই করতে পারেন।
৬। ক্রেতাদের সাথে ডিল করবেন নরম ভাবে। ১০জন ক্রেতা ৫০টা প্রশ্ন করে মাত্র একজন ক্রেতা শেষ পর্যন্ত আপনার থেকে কিনতে পারে। এখন আপনি যদি বিরক্ত হোন তাহলে বাকি ৯জন ক্রেতা আর আপনাকে নক করতে আগ্রহি হবে না। কিন্তু আপনি যদি তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করেন, না কিনলেও সুন্দর কথা বজায় রাখেন তাহলে তারা এবার না কিনলেও পরে কোন এক সময় আপনার থেকে কিনতে পারে।
৭। আর্টিকেল লেখা। আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে আগে লেখার মূল বিষয় নিজেকে বুঝতে হবে। লেখা লিখবেন গ্যাপ দিয়ে দিয়ে। অযথা কথা বাড়িয়ে রচনা করবেন না। সম্ভব হলে লেখার মধ্যে মধ্যে ছবি দিবেন।
৮। পেইড বিজ্ঞাপন। ফেসবুক ফ্রিতে রিচ কম দেয়। প্রথম প্রথম কিছুটা দিলেও পরে আবার কমিয়ে দেয়। এখন আপনি যদি বেশি মানুষের কাছে রিচ করতে চান তাহলে পেইড এড দিতে পারেন।
আপনার এড সেটিং যদি ঠিক হয় তাহলে ১০০০ টাকার এড দিয়ে আপনি ৩হাজার টাকার লাভ তুলতে পারবেন। এভাবেই পেইড মার্কেটিং হয়ে থাকে।
৯। ফেসবুক ছাড়াও অন্যান্য সাইটে বিজনেস। ফেসবুক এর মত ইন্সটাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, ইউটিউব ও বিজনেসের জন্য সম্ভাবনাময়। শুধু ফেসবুকে পড়ে না থেকে ওয়েব সাইট কিংবা অন্যান্য সাইটে বিজনেস আগানো যেতে পারে যদি আপনি এসব দিকে জ্ঞান রাখেন।
১০। খাবার নিয়ে বিজনেস, চাইনিজ আইটেম নিয়ে বিজনেস, ড্রেস নিয়ে বিজনেস এসব টপিকের আলোচনা আলাদা আলাদা ৩টা ভিডিও তে দেয়া আছে। দেখে নিতে পারেন।
ফেসবুক এর বাইরেও সেল করবেন কিভাবে?
ফেসবুক যেমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া এমন সোশ্যাল সাইট আরো অনেক আছে। যেমন ইউটিউব একটি ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া। ইন্সটাগ্রাম ছবি শেয়ারিং সাইট, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি।
আপনার বিজনেস কি শুধু ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ?
আপনি যদি সুন্দর করে ছবি তুলতে পারেন তাহলে সেই ছবি গুলো ইন্সটাগ্রামে আপলোড দিতে পারেন। আপনি যদি ভিডিও বানাতে পারেন তাহলে সেই ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
Instagram : ইন্সটাগ্রামে তুলনামুলক ভাবে মেয়েরা বেশি কেনাকাটা করে। আপনি যদি ড্রেস, ফ্যাশন রিলেটেড বিজনেস করেন তাহলে আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন ইন্সটা তে আপনার বিজনেস কে এক্টিভ রাখতে।
চেষ্টা করার কথা বললাম কারন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছোট বিজনেসের জন্য ফেসবুকই বেশি উপযুক্ত। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া তে বাংলাদেশি কম এক্টিভ আর যাও এক্টিভ ইউজার থাকে তারাও ফেসবুক এর মত কেনাকাটা করে না।
যায় হোক। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে এক্সপার্ট হোন তাহলে অনেক সাইট থেকেই সেল আনতে পারবেন আশা করি। আর যদি ফেসবুকেই আপনি বেশি ইজি ফিল করেন তাহলে ফেসবুকেই লেগে থাকুন।
ইউটিউবঃ এখন টিভির চাইতে মোবাইল ভিউয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউটিউবে মানুষ প্রচুর ভিডিও দেখছে। মানুষ কিভাবে হাড় চিবাচ্ছে এসব নিয়ে বানানো ভিডিওও এখন লাখ লাখ মানুষ দেখে!!
আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ ভিডিও বানাতে পারেন। যদি হোমমেড প্রোডাক্ট হয় তাহলে সেই প্রোডাক্ট বানানোর কাতছাট প্রসেস দেখাতে পারেন।
এভাবে নানা সময় বিজনেস রিলেটেড নানা ভিডিও আপলোড করতে পারেন ইউটিউবে।
ভিডিও আপলোড দেওয়ার আগে বলে রাখি, ভিডিও তে মিউজিক ইউজ করবেন না। আগে সব ধরনের ভিডিও তে মিউজিক হতো, শুরুতে শেষে ইন্ট্রো ইউজ হতো। এখন এসব কমে যাচ্ছে। কারন মানুষ ৩মিনিট এর ভিডিও দেখতে ১মিনিট ইন্ট্রো দেখতে চাই না।
যেখানে যে ভিডিও তে মিউজিক দরকার নেই সেই ভিডিও তে মিউজিক শুনতে চাই না। গান শুনতে চাইলে তো তারা গানের ই ভিডিও দেখতে পারতো, তাই না?
এজন্য চেষ্টা করবেন মিউজিক ছাড়া ন্যাচারাল ভিডিও বানাতে। ভিডিও বেশি লম্বা করবেন না। ২/৩ মিনিট এর ভিডিও বানাবেন।
চেষ্টা করবেন ভালো আলোতে ভিডিও রেকর্ড করতে।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট এর জন্য Kinemaster এবং inShot এই দুইটা বেস্ট লেভেলের এপ। কাইন মাস্টার দিয়ে তো আপনি অনেক ট্যামপ্লেট ও ইউজ করতে পারবেন।
Kinemaster দিয়ে ভিডিও এডিট এর কিছু ভিডিও গ্রুপে আপলোড করা হতে পারে। সেটা দেখে ধারনা পাবেন আশা করি।
পিন্টারেস্টঃ বাংলাদেশের জন্য ফেসবুক আর ইউটিউব এই দুইটাই বিজনেস ফ্রেন্ডলি। বিশেষ করে ফ্রি ট্রাফিকের জন্য।
অন্য সোশ্যাল সাইট গুলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় দিলেও তেমন বাংলাদেশি ক্রেতা পাবেন না। তাও আমার কাজ আপনাদের জানানো তাই জানাচ্ছি যে পিন্টারেস্ট সাইটটি ফ্যাশন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এসব প্রোডাক্টের জন্য ভাল একটি সাইট।
পিন্টারেস্ট বেশি ইউজ করে আমেরিকা কানাডার মেয়েরা। মেকাপ, ড্রেস এসব নিয়ে লাখ লাখ আইডিয়া পেতে পিন্টারেস্ট হাই লেভেলের সাইট।
যেহেতু এই সাইটের ইউজার বেশিরভাগই বিদেশি তাই আপনার বিজনেস বাংলাদেশ ভিত্তিক হলে এখান থেকে আপনি কোন সেল পাবেন না বলেই ধরে নিতে পারেন!!
ওয়েবসাইটঃ আপনি যদি আপনার বিজনেস এর মাধ্যমে আরো বেশি মানুষের কাছে রিচ করতে চান, আপনার বিজনেস কে ফেসবুক ভিত্তিক বিজনেসের বাইরেও নিতে চান তাহলে আমি বলবো ওয়েব সাইট এর দিকে আগানো উচিত।
আমরা কোন কিছু জানতে কি করি? টুক করে গুগলে সার্চ করি। গুগল সার্চ রেজাল্টে ১০টা ওয়েব সাইটের পোস্ট দেখায়। আমরা আমাদের পছন্দ মত সাইটে ক্লিক করে সেই পোস্ট পড়ে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দেখার চেষ্টা করি।
Sharee price/ Home Made food in khulna / Borka Price in khulna এসব লিখে অনেকেই তো সার্চ করে তাই না?
কেমন হবে যদি শাড়ি লিখে সার্চ করলে গুগল আপনার শাড়ির ওয়েব সাইট সামনে দেখায় আর সার্চ করা ঐ মানুষ গুলো আপনার ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে??
৫০০জন মানুষ সার্চ করলে ১০জন কি আপনার শাড়ি কিনবে না??
যারা খুলনার ভেতর কেক খুজছে তারা যখন আপনার খাবারের সাইটে প্রবেশ করবে তখন কি তাদের ৫% ও কিনবে না?
বাইরের দেশ গুলোতে বিজনেস হয় এমন ভাবেই।
ধরুন রেশমি শারমিন এর ইচ্ছা হইছে সে কালকে ভ্যানিলা কেক খাবে। গুগলে সার্চ করছে “খুলনার ভেতর কম দামে ভ্যানিলা কেক কোথায় পাওয়া যাবে”
গুগল সেই সার্চ রেজাল্টে আপানার যারা কেক নিয়ে কাজ করেন তাদের কারো ওয়েব সাইট দেখালো। রেশমি শারমিন সেই সাইটে প্রবেশ করে অনেক গুল কেক আর সাথে সাথে কেকের দাম ও ডিটেলস দেখতে পেলো। তার যেটা পছন্দ হয়েছে সে সেটা কেনার জন্য ফাইনাল করে নক দিলো।
এমন অনেক রেশমি শারমিন কি প্রতিদিন গুগলে শাড়ি, বোরকা হিজাব, বিরানি, কেক, এসব লিখে খুজছে না?? খুজছে।
আপনার কাজ হলো তাদের কাছে আপনার সাইট সামনে আনা। ভালো মানের লেখা ও ছবি দিয়ে ওয়েব সাইট সাজানো।
যারা লেখা পড়েই মনে মনে ঠিক করে রেখেছেন ওয়েব সাইট খুলবেন আর কাস্টমার পাবেন তাদের জন্য একটু খারাপ খবর দেই! ওয়েব সাইট ফেসবুক এর মত ফ্রি না!
ওয়েব সাইট করতে টাকা লাগবে, সাজাতে টাকা লাগবে, ওয়েব সাইট গুগলের টপ সার্চ রেজাল্টে আনতে টাকা লাগবে। মোট কথা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বিজনেস করলে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে।
কন্টেন্ট কিভাবে লিখবেন?
কন্টেন্ট লেখা বলতে ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা বুঝানো হয়। কিন্তু আমাদের কোর্সের সদস্যরা বলতে গেলে সবাই ফেসবুক ভিত্তিক বিজনেস করেন তাই ফেসবুক এর গ্রুপ বা পেজের জন্য কিভাবে কন্টেন্ট লিখবেন সেটাই প্রধান ভাবে দেখানো হবে।
কন্টেন্ট লেখার শুরুতে আগে যেই প্রোডাক্ট নিয়ে লিখবেন সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিন। যদি গ্রুপে পোস্ট করার জন্য লেখেন তাহলে সেই গ্রুপের রুলস পরে রুলস ফলো করে লিখুন।
যদি পেজের জন্য লেখেন তাহলে তাহলে চেষ্টা করবেন কাস্টমারের আগ্রহ আকর্ষণ অর্জন করবে এমন ভাবে লিখতে।
পেজের জন্য লেখায় প্রথম ৪/৫ লাইনের মধ্যেই এমন কিছু দিবেন যাতে কাস্টমার পুরা লেখা পড়তে আগ্রহি হয়।
লেখার মধ্যে প্রোডাক্ট এর গুন, ভিন্নতা, ব্যবহার এসব দিবেন। চেষ্টা করবেন নিজে লিখতে। যার থেকে প্রোডাক্ট নিয়েছেন তার দেওয়া লেখা কপি করে চালিয়ে দিবেন না।
পেজের পোস্টের রিচ বাড়াতে মাঝে মাঝে প্রোডাক্ট এর লেখার বাইরেও ইসলামিক লেখা, সুন্দর শিক্ষণীয় গল্প এসব পোস্ট দিবেন। এগুলো শেয়ার হয় অনেক সময়। শেয়ার হলে পেজের রিচ ও বাড়ার চান্স আছে।
এখন আসি ওয়েব সাইটের জন্য কন্টেন্ট লেখা নিয়ে।
গ্যাপ দিয়ে লিখবেন। আপনারা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন ভালো মানের ওয়েব সাইট গুলোর লেখা থাকে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে। আমার এই পোস্টের লেখা দেখেন দেখবেন পয়েন্ট পয়েন্ট আলাদা আলাদা করে লেখা। এমন কেন করা হয়?
কারন এক সাথে অনেক লাইন লেখা হলে সেটা জঙ্গলের মত হিজিবিজি লাগে, পাঠক পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। রিডিং পড়াও কঠিন হয়ে যায়। চোখের উপর চাপ পড়ে। এজন্যই ছোট ছোট প্যারা আকারে লেখা হয়।
প্রতি ২/৩ লাইন পর পর গ্যাপ দিবেন।
ওয়েব সাইটের জন্য লেখায় প্রোডাক্টের দোষ গুন আলাদা আলাদা করে দিবেন অথবা টেবিল করে দিবেন।
বাড়তি কথা না লিখে বরং মূল পয়েন্ট দিবেন।
মানুষজন এখন খুব অল্প ধৈর্য নিয়ে লেখা পড়ে। মূল কথার চাইতে বাড়তি কথা বেশি থাকলে তারা লেখা না পড়েই চলে যাবে।
ছবিঃ লেখার সাথে রিলেটেড ছবি দিবেন। ছবি গুলো চেষ্টা করবেন এপ দিয়ে নিজে বানাতে। কালেক্টেড ছবি দিবেন না।
রিভিউঃ লেখা শেষে আবার লেখাটা পুরাটা পড়বেন। কোথাও কোন পয়েন্ট বাদ পড়েছে কিনা, কোন বানান ভুল হয়েছে কিনা এসব চেক করবেন। চেক না করে হুট করে পাবলিশ করে দিবেন না।
অফলাইনে আপনার বিজনেস কে সহজে প্রমোট করার কিছু আইডিয়া।
১। আপনার বিজনেসের নাম দিয়ে ব্যাগ প্রিন্ট করে ফেলুন।
ব্যাগ কিন্তু এমনিও আমাদের কেনা লাগে ডেলিভারি দেওয়ার জন্য। এখন ঐ ব্যাগে যদি আপনার বিজনেসের নাম, ঠিকানা এসব দেওয়া থাকে তাহলে আরো অনেকেই আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানতে পারবে।
ব্যাগ প্রিন্ট করুন। এটি অনেক মানুষের কাছে আপনার বিজনেস কে পরিচিত করে তুলতে সাহায্য করবে। এবং ক্রেতাও আপনার বিজনেস কে প্রফেশনাল ভাবে গ্রহন করবে।
২। ব্যানার দিন।
ফেসবুকে ব্যানার না। আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন সেই প্রোডাক্টের টার্গেট বায়ারদের সমাগম স্থানে প্রিন্ট করা ব্যানার দিন। একটি মাঝারি আকারের ব্যানার করতে ৪০০/৫০০ টাকা লাগবে, এর বেশি না।
কিন্তু এই ৫০০ টাকা ইনভেস্ত করেই আপনি অনেক গুলো পটেনশিয়াল কাস্টমার পেতে পারেন।
আপনি যদি মেয়েদের ড্রেস, হিজাব বোরকা এসব নিয়ে কাজ করেন তাহলে গার্লস কলেজের সামনে আপনার বিজনেসের ব্যানার ঝুলিয়ে দিন।
প্রতিদিন শত শত মেয়ে আপনার বিজনেস পেজের নাম, আপনার নাম এসব দেখবে। তারা যখন তাদের কলেজের সামনে আপনার বিজনেসের ব্যানার দেখবে তখন তাদের অনেকের মনে আপনার নাম বিজনেসের নাম গেথে যাবে। তারা অনলাইন থেকে ড্রেস কেনার সময় আপনাকে খুজবে। কিনুক বা না কিনুক কিন্তু অনেকেই আপনাকে সার্চ করবে যেহেতু তারা তাদের কলেজের সামনে আপনার নাম সম্পর্কে জেনেছে।
এভাবেই আপনি সুন্দর সুন্দর ব্যানার এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস কে অফলাইনেও ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৩। স্টিকার। যারা বিভিন্ন ক্রিম তেল বা এসব টাইপের প্রোডাক্ট সেল করেন তাদের উচিত হবে স্টিকার বানিয়ে নেওয়া। স্টিকার প্রিন্ট করতে ব্যাগ প্রিন্ট করার মতই খরচ হবে বা একটু কম বেশি।
কিছু টাকা খরচ করতে হলেও স্টিকার এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের একটা প্রফেশনাল লুক আসবে।
৪। পোস্টার। ব্যানারের মতই এটি তবে ব্যানার টার্গেট লোকেশনে লাগানো হয় আর পোস্টার ইচ্ছামত শহর জুড়ে লাগানো হয়।
ব্যানার হোক বা পোস্টার আমাদের এসবের উদ্দেশ্য অল্প টাকায় বিজনেস কে বেশি বেশি মানুষের কাছে প্রমট করা যাতে তারা আমাদের বিজনেস সম্পর্কে অবগত হয়। তাদের মাথায় আমাদের বিজনেসের নাম টা থাকে।
আপনি যখন অনলাইনের বাইরেও প্রচারনা চালাবেন তখন মানুষের কাছে আপনার বিশ্বাস যোগ্যতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে আশা করি।
৩। কন্টেস্টের আয়োজন। গ্রুপ কিংবা পেজ ২খানেই কন্টেস্ট আয়জনের মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি মানুষের সাথে বিজনেস কে রিলেটেড করতে পারবেন।
সব সময় ডিরেক্ট লাভ খুজবেন না। কখনো কখনো ইনভেস্ট করতে হবে লং টার্ম এ লাভ উথানোর জন্য। আজকে ১০০০টাকা ইনভেস্ট করলে কালকে ২০০০টাকা ফেরত পাবেন এমন না।
কিন্তু আপনি যদি ১০০০ টাকার কন্টেস্ট আয়োজন করেন আর সে কন্টেস্টে ৫০জন অংশ নেই তাহলে ভেবে দেখুন এই ৫০জনের অনেকেই পরবর্তীতে আপনার একজন রেগুলার কাস্টমার হয়ে যাবে।
আপনি খরচ করেছেন ১০০০ টাকা কিন্তু এই যে রেগুলার কাস্টমার পেয়ে যাচ্ছেন এরাই পরে আপনার থেকে একেকবারে ১/২হাজার টাকার প্রোডাক্ট কিনবে। ফলে আপনার ইনভেস্ট করা ১০০০টাকা তুলে নেওয়া বেশি সময় সাপেক্ষ হবে না আশা করি।
তাই বিজনেস প্রমট করতেও টাকা ইনভেস্ট করুন। অল্প অল্প হলেও ইনভেস্ট করুন। লং টার্মে লাভ হবে বলেই মনে করি।
আর চেষ্টা করবেন নিজের গ্রুপে কিংবা পেজে কন্টেস্ট আয়োজন করতে। অন্য গ্রুপের কন্টেস্টে ইনভেস্ট করে তেমন একটা লাভ নাই।
৪। বিজনেস কার্ডঃ
৫০০ টাকার মধ্যে ভিজিটিং কার্ড প্রিন্ট করা যায়। আপনার একটা বিজনেস কার্ড থাকা মানে অন্য ১০জনের কাছে আপনার কাজকে আরো সিরিয়ায়স ভাবে আরো প্রফেশনাল ভাবে তুলে ধরতে পারা।
বিজনেস কার্ডের মাধ্যমে ২টি কাজ হয়ে যায়। এক নিজের ব্র্যান্ডিং দুই বিজনেসের প্রমট।
আপনি কোথাও গেলে যদি ২/৩ জন যাদের সাথে কথা হয়েছে তাদের কে আপনার কার্ড দেন তাহলে তাদের কাছে আপনার অবস্থান আপনার বিজনেসের ব্যাপারে পজিটিভ ধারনা তৈরি হবে।
শুধু অনলাইনে পরে থাকলে হবে না, অফলাইনেও কাজ ছড়িয়ে দিতে হবে। অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে হবে।