স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার উপায় ও কিভাবে স্বামীর রাগ কমিয়ে খুশি করবেন তার টিপস

আমাদের জীবনের অন্যতম একটা পর্ব হলো পারিবারিক সাংসারিক পর্ব। জীবনের মাঝে এসে আমাদের অপরিচিত ২জন নারী পুরুষ একই সাথে থাকা খাওয়া আদর ভালবাসায় জড়িয়ে পড়ে। অন্য সম্পর্কের মত এই সম্পর্কেও ভালো খারাপ মুহূর্ত, রাগ অভিমান, ঝগড়া ভুল বুঝা বুঝি ইত্যাদি আছে।আজকে এই পোস্টে দেখাবো কিভাবে আপনি বেশি বেশি স্বামীর ভালোবাসা  পাবেন, তার মন জয় করবেন এবং রাগ করলে কিভাবে তার রাগ ভাঙ্গাবেন তার কিছু উপায়। 


যে কয়টা উপায় নিচে দিয়েছি তার ২/১ টা টিপস কাজে লাগবেই আশা করি। তবে আপনাকে মনে রাখতে ইস্যু যদি খুব বড় হয় তাহলে বড় সমাধানের দিকে দেখতে হবে।  আর এই পোস্ট টি স্ত্রীরা কিভাবে স্বামীর মন জয় করতে পারে তার কিছু টিপস নিয়ে তাই পড়ার সময় মনে হতে পারে সব কিছু স্ত্রিরাই করবে কেনো? স্বামীদের দায়িত্ব নেই? স্বামীদের দায়িত্ব স্বামীরা কিভাবে স্ত্রীর ভালোবাসা পাবে সেই পোস্টে দিবো। 

  1. স্বামীর মন জয় করার উপায় 
  2. স্বামীর মন পাওয়ার দোয়া
  3. কোন আমল করলে স্বামী পাগলের ভালবাসবে
  4. স্বামীকে হাতে রাখার আমল কি? 
  5. কিভাবে স্বামীর রাগ কমাবেন?

বিবাহিত জীবনে সুখী হওয়ার জন্য সহজ এবং অত্যন্ত ফলপ্রসু তিনটি বিষয় শিখে নিন—

১. অধিক হারে সালামের প্রসার। সালাম কে আগে দিবে, এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তাকে স্বাভাবিক করে নিতে হবে। সম্মানিত স্বামীর সালামের জবাব দেওয়া বেয়াদবি টাইপ একটা চিন্তার অনুপ্রবেশ ঘটে সাধারণত। ওটা দূর করে নিবেন।


২. নিয়মিত মুচকি হাসি। প্রতিটি মুচকি হাসি নতুন করে প্রেমে পড়ার অন্যতম মাধ্যম, তাই সুখে-দুখে, রাগে-অভিমানে মুচকি হাসি ফরজ বানিয়ে নিন! মুচকি হেসে কথা বলুন সবসময়। হৃদয়ের গভীরে অসম্ভব প্রভাব আছে মুচকি হাসির। তাই অবশ্যই হাসুন। তবে তাবাসসুম ❣️

৩. প্রতিদিন বলতে হবে, “আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য অনেক বেশি ভালোবাসি”❤️আর এটি মোটেও ফান করে বলছি না। আপনি যে কথা বেশি বেশি আওড়াবেন, সেটা আপনার হৃদয়ে গেঁথে যাবে। এ সম্পর্কে পারষ্পরিক ভালোবাসা খুব খুব জরুরি। বিশেষ করে এই ফ্যাসাদপ্রিয় সময়ে। জগতের প্রতিটি পরিবার হাসুক।

– Mahdi Hasan

স্বামী-স্ত্রীর চিন্তার ঐক্য: সুখী দাম্পত্যের অন্যতম উপাদান

সুখী সংসারের অন্যতম অনুঘটক স্বামী-স্ত্রী দুজনের চিন্তার ঐক্য। সব বিষয়ে দুজনের একমত হওয়া জরুরি না। তবে অধিকাংশ বিষয়ে ঐক্য থাকলে সংসারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। বিশেষত দ্বীনী বিষয়ে দুজনের একমত হওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে ভিন্নমত দাম্পত্য কলহের কারণ হতে পারে।
দুজনের মানসিকতা কাছাকাছি থাকলে বোঝাপড়াটাও ভালো হয়। একজন আরেকজনের মনের কথা খুব সহজেই পড়তে পারে। কোন ইস্যু সামনে আসলে স্বামীর ভাবনা কি হতে পারে, স্ত্রী সেটা খুব সহজে আঁচ করতে পারে। একজন আরেকজনের মনের ভাষা পড়তে পারা দাম্পত্য জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এতে পারষ্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। অপ্রত্যাশিত মনোমালিন্য থেকে খুব সহজে বেঁচে থাকা যায়।


এজন্য বিয়ের ক্ষেত্রে চিন্তার ম্যাচুরিটি বিবেচনায় রাখা উচিত। প্রত্যেকের মাইন্ডসেট বুঝতে হলে কয়েকটি বিষয় সামনে রাখা যেতে পারে-


১. শিক্ষাগত যোগ্যতা: দুজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা পাশাপাশি হলে ভাবনায় মিল থাকার সম্ভাবনা থাকে। একজন মাস্টার্স পাশ মানুষের সাথে ক্লাস ফাইভ পাশ করা মানুষের চিন্তার দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার! এজন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি মাথায় রাখা চাই।

২. পারিবারিক শিক্ষা: দুজনের পারিবারিক শিক্ষা চিন্তার ম্যাচুরিটি নির্ধারণে খুবই প্রাসঙ্গিক। একজন পূর্ণ দ্বীনী পরিবেশে বেড়ে ওঠেছেন। আরেকজনের বেড়ে ওঠা পুরো বদদ্বীনী পরিবেশে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত চিন্তার দূরত্ব থেকে যায়। চিন্তার এই দূরত্ব অনেক সময় অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে। যার ফলে পারষ্পরিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে না। দিন দিন মনোমালিন্য বাড়তে থাকে। সংসারে জ্বলতে থাকে অশান্তির আগুন। তাই পারিবারিক শিক্ষা অবশ্য বিবেচ্য একটি পয়েন্ট।

৩. বয়সের তারতম্য: দুজনের বয়সের তারতম্য চোখে পড়ার মতো না হওয়া ভালো। বয়সের ডিস্টেন্স যদি ভারসাম্যপূর্ণ পর্যায়ে থাকে, তাহলে চিন্তার ম্যাচুরিটি থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ১০-১৫ বছরের পার্থক্য থাকলে চিন্তার ম্যাচুরিটি প্রত্যাশিত না হওয়ার আশঙ্কা থাকে।এজন্য দুজনের বয়সের ডিস্টেন্স বেশি না হওয়া ভালো। আপনার বয়স থেকে ৫-৭ বছরের কম বয়সের মেয়ে হলে দু’জনের চিন্তা কাছাকাছি থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের জানাশোনা পরিপক্ব হতে থাকে। জগতকে চেনার জন্য বয়সের একটা ছাপ থাকে। কম বয়সী মানুষ জ্ঞানী হলেও জগতের ধাঁধা তার কাছে ততটা স্পষ্ট থাকে না। সেজন্য স্বামী-স্ত্রীর বয়সের তারতম্য বিবেচনার বিষয়। দুজনের চিন্তা কাছাকাছি থাকলে বোঝাপড়া ভালো হয়। মনের মিল থাকার কারণে ভালোবাসাটাও পরিমিত হয়। সুখী হোক জগতের সকল দম্পতি।

>~~Emran Ahmed

স্বামীর ভালোবাসা পাবেন কিভাবে?

কাজ থেকে ফিরে আসার পর একে অন্যকে সালাম দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। যতই রাগ অভিমান হোক সালাম দেওয়া বন্ধ করবেন না। দেখবেন শুধুমাত্র এই সালাম দেওয়ার অভ্যাস ই অনেক ঝামেলা, ঝগড়া বোর হওয়ার আগেই শেষ করে দিবে ইনশা আল্লাহ্‌।


প্রফুল্ল মুখে তার সাথে দেখা করুন।আপনি সারাদিন ঘরে অনেক কাজ করেছেন এবং আশা করেন আপনার স্বামী আপনার এই কাজের মূল্যায়ন করুন? তাহলে আপ্নারাও উচিত আপনার স্বামীর সারাদিনের কষ্ট কে মূল্যায়ন করা। সে যখন কাজ শেষে ঘরে ফিরবে তখন অন্তত ১ঘন্টা হলেও নিজেকে ফ্রেশ, হাসিখুশি রাখুন।


পরিষ্কার কাপড় পরুন। নিজেকে সুন্দর করুন এবং সুগন্ধি দিন।বাসায় অনেক কাজ, বাচ্চা সামলানো এসবের পর আর নিজেকে সাজাতে ইচ্ছা করে না? নিজেকে কাজের মহিলার মতই রাখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন? এমন করবেন না কারন এতে আপনার স্বামী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, বাইরের চকচকে নারীর প্রতি ঝুকে পড়বে।


সারাদিন যেভাবেই থাকেন না কেন স্বামী আসার একটু আগে নিজেকে একটু ফ্রেশ করে নিন, রুমে রুম ফ্রেশ্নার ইউজ করুন কিংবা নারীদের জন্য পারফিউম আছে নিয়ম মেনে সেগুলো ইউজ করুন।আমি বলছি না আপনাকে ২৪ ঘন্টা বলিউডের নায়িকাদের মত সেজে থাকতে হবে। ওরাও ২৪ ঘন্টা সেজে বসে থাকে না!


আমি বলছি আপনার স্বামী যদি রাত ৮টাই বাসায় ফিরে তাহলে ৭টার মধ্যে সব কাজ শেষ করে নিজেকে একটু ….একটু সাজান, হালকা লিপস্টিক, সুন্দর পরিষ্কার একটি ড্রেস, আর হাসি খুশি মুখ। বিলিভ করেন আপনার সঙ্গি সারাদিন পাহাড় ভেঙ্গে আসলেও আপনার এমন হাসি খুশি মন সুন্দর মুখ দেখে সারাদিনের কষ্ট ঝেড়ে ফেলবে।

বাসায় ফিরার সাথে সাথে সারাদিনে কে কি বলছে, কার সমস্যা, কিসের ঝামেলা এসব নিয়ে আলোচনা করবেন না। আপনার উনি আসুক, ফ্রেশ হোক, খাওয়া দাওয়া করুক এরপর দুজনে বসে সমস্যার ব্যাপারে কথা বলুন।আসা মাত্র সমস্যা, অভিযোগ এসব শুরু করবেন না। এতে মেজাজ বিগড়ে যায় আর বিগড়ানো মেজাজ দিয়ে সমস্যার সমাধান তো হইনা উলটা ঝগড়া বাধে!!

সারা বছর তো আর ঝগড়া অভিমান হয় না, তাই না? তাহলে নরমাল অবস্থা সব সময় চেস্টা করবেন একটু ভালোবাসা, দুষ্টুমি কথা, চাহনি দিয়ে তাকে গ্রহন করতে।
ভয়েসকে সুন্দর করুন এবং নরম করুন (কেবল আপনার স্বামীর জন্য, এটি নন-মাহরাম পুরুষদের সামনে ব্যবহার করা উচিত নয়)। সুন্দর ভয়েস মানে কোকিল কণ্ঠি হতে হবে এমন না, বরং সুন্দর করে নরম ভাবে কথা বলুন। চি চি করবেন না, কথায় কথায় কাউ কাউ করবেন না।


আপনার শরীর এবং ফিটনেস ভাল যত্ন নিন.বিয়ের পরে অনেকে মুটিয়ে যায়। সংসারের কাজ, বাচ্চা সাম্লানোর সাথে সাথে দেহ ভারি হয়ে যাওয়ার কারনে মেজরিটি পারসেন্ট নারী নিজের প্রতি আর তেমন যত্ন নেই না।একজন গার্ল ফ্রেন্ড তার বয়ফ্রেন্ডের জন্য যত সাজে যত ফিট রাখে তার৩০% ও যদি স্ত্রীরা নিজের স্বামীর জন্য নিজেকে সাজায় এতেই স্বামী ফিদা হয়ে যাবে আশা করি।


নিজেকে কাজের মহিলা ভাববেন না, কাজ সবাই ই করে। কেউ কম কেউ বেশি। তাই কাজ সেরে নিজেকে একটু সাজানোর সময় পান না, নিজের যত্ন নেওয়ার সময় পান না এমন অজুহাত দিয়েন না প্লিজ। একটু ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন যাতে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই অল্প বয়সেই খালাম্মা না হয়ে যান আর সাথে নিজের দেহের বিভিন্ন পার্টস এর যত্ন নিন। নিয়মিত গোসল করুন এবং মাসিকের পরে। গোসল তো মনে হয় সবাই ই করে। কারো যদি গোসল এ আলসেমির অভ্যাস থাকে তাহলে তা ত্যাগ করা উচিত। গোসল না করলে দেহ মন ফ্রেশ ফ্রেশ রাখা কঠিন আর ঝিমানো মন নিয়ে স্বামীকে খুশি করা যাবে? মনে হয় না।


আপনার স্বামী পছন্দ করে এমন ধরনের পারফিউম, রং ​​এবং কাপড় ব্যবহার করুন।


সময়ে সময়ে চুলের স্টাইল, পারফিউম ইত্যাদি পরিবর্তন করুন। যাইহোক, বাড়াবাড়ি এড়িয়ে চলুন এবং অবশ্যই, শুধুমাত্র মাহরাম পুরুষ ও মহিলাদের সামনে এমন আচরণ করুন।


ঘনিষ্ঠতার জন্য ত্বরা করুন যখন স্বামী এর জন্য বাধ্যতা বোধ করেন।


আপনার স্বামীর সাথে প্রেমময় বাক্যাংশ বিনিময় করুন।


আল্লাহ যা বরাদ্দ করেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকুন।


মনে রাখবেন প্রকৃত সম্পদ ইমান ও তাকওয়ার মধ্যে নিহিত রয়েছে।


আপনার স্বামী গরীব বা সাধারণ চাকুরী করে বলে হতাশ হবেন না। গরীব, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের দিকে তাকান এবং আপনাকে যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য আল্লাহকে স্মরণ করুন।


আপনার স্বামীর কাছে অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস জিজ্ঞাসা করবেন না।তপস্যা মানে ভালো এবং জায়েজ (হালাল) যা উপভোগ করা নয়, এর অর্থ হল পরকালের দিকে তাকিয়ে থাকা এবং জান্নাত (জান্নাহ) অর্জনের জন্য আল্লাহ যা দিয়েছেন তা ব্যবহার করা।


আপনার স্বামীকে খরচ কমাতে এবং কিছু অর্থ সঞ্চয় করতে উত্সাহিত করুন যাতে দান-খয়রাত করা যায় এবং দরিদ্র ও অভাবী লোকদের খাওয়ানো যায়।


আপনার স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।


আপনি যদি কৃতজ্ঞ হন, তাহলে আপনার স্বামী আপনাকে আরও ভালোবাসবেন এবং আরও উপায়ে আপনাকে খুশি করার জন্য তার যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।


আপনি যদি অকৃতজ্ঞ হন, আপনার স্বামী হতাশ হবেন এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করবেন: আমি কেন তার সাথে ভাল করব, যদি সে কখনও প্রশংসা না করে? এ ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন।
সর্বদা তার প্রতি অনুগত থাকুন।


ইসলামে স্বামী হল পরিবারের নেতা, আর স্ত্রী তার সহযোগী ও পরামর্শদাতা।
যা তার রাগের নিশ্চয়তা দেবে তা এড়াতে চেষ্টা করুন।
রাগ হলে তাকে দয়া করুন।
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
যদি তার ভুল হয় তবে তর্ক না করে স্থির থাকুন বা আপনার অধিকার আদায় করুন।
অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না তিনি আর রাগান্বিত না হন এবং তার সাথে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করুন।


যদি সে বাহ্যিক কারণে রাগ করে থাকে তাহলে তার রাগ দূর না হওয়া পর্যন্ত চুপ থাক।তার জন্য অজুহাত খুঁজুন, যেমন ক্লান্ত, কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, কেউ তাকে অপমান করেছে ইত্যাদি।
অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না বা কী ঘটেছে তা জানার জন্য জোর করবেন না, (যেমন আপনার আমাকে বলা উচিত কী ঘটেছে? … আমাকে অবশ্যই জানতে হবে কী কারণে আপনি এত রাগান্বিত হয়েছেন… আপনি কিছু লুকাচ্ছেন, এবং আমার জানার অধিকার আছে।)


যেকোনো নিষিদ্ধ সম্পর্ক থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।


পরিবারের গোপনীয়তা রাখুন, বিশেষ করে বেডরুমের কথাবার্তা এবং এমন জিনিস যা আপনার স্বামী অন্য লোকেদের জানা পছন্দ করেন না।


ঘর এবং বাচ্চাদের যত্ন নিন।
তার অর্থ ও সম্পত্তির যত্ন নিন।


তাঁর অনুমতি ব্যতীত ঘর থেকে বের হবেন না; উপযুক্ত পোশাক পরে বাইরে যান।
তিনি যাদের কাছে আসতে পছন্দ করেন না তাদের প্রত্যাখ্যান করুন।
কোনো অ-মাহরাম পুরুষকে কোনো স্থানে আপনার সাথে একা থাকতে দেবেন না।


তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। তার অতিথিদের স্বাগত জানাই।
যতটা সম্ভব তার আত্মীয়দের সাথে সমস্যা এড়িয়ে চলুন।সমস্যা এড়িয়ে চলার অন্যতম একটু উপায় কি জানেন? তাদের ব্যাপারে চুপ থাকুন, আত্মীয়দের ঝামেলাউ কোন মত দিতে যাবেন না । এর পক্ষ ওর পক্ষ কারো পক্ষই নিবেন না। দিন শেষে আপনার ভালো থাকায় যদি আসল উদ্দেশ্য হয় তাহলে এসব ঝামেলা, গীবত এড়িয়ে চলুন। দেখবেন আমাদের সমাজের অধিকাংশ ঝামেলার কোন ভালো ফল থাকে না। ঝগড়া করে ঝগড়ার জন্য!! কোন ভাল উদ্দেশে না। তাই এসব ব্যাপারে নিজেকে একদম ই জড়াবেন না।


তাকে এমন অবস্থানে রাখা এড়িয়ে চলুন যেখানে তাকে তার মা এবং তার স্ত্রীর মধ্যে বেছে নিতে হবে।আপনি যদি আপনার স্বামীর কাছে নিজেকে আর তার মায়ের মধ্যে একটা বেছে নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করেন তাহলে সমূহ সম্ভাবনা আছে সে আপনার উপর স্থায়ী ভাবে চটে যাবে। যদি কোন কারনে সে আপনার কথায় তার মাকে ত্যাগ ও করে তাহলেও আপনার খুশি হওয়ার কিছু নাই কারন সন্তান কখনই তার মায়ের শত্রু কে ভালো ভাবে মনে জায়গা দিবে না দেই না।


সে হইতো পরিস্থিতির কারনে আপনার দাবি মানতে রাজি হইছে তবে আপনি কখন সুখে থাতে পারবেন না। এমন সংসারে সুখ থাকেও না। খুবই ছোট ছোট ব্যাপার নিয়েও ঝগড়া লেগে থাকে। তাই স্বামীর কাছে নিজেকে আর স্বামীর মায়ের মধ্যে কম্পিটিশন তৈরি করবেন না।
তার অতিথিদের বসার জন্য একটি সুন্দর জায়গা, খাবারের পরিপূর্ণতা ইত্যাদির ব্যবস্থা করে তাদের জন্য ভাল আতিথেয়তা দেখান।
তাকে তার আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে এবং তাদের আপনার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতে উত্সাহিত করুন।


তার বাবা-মা এবং বোনদের ফোন করুন, তাদের কাছে চিঠি পাঠান, তাদের জন্য উপহার কিনুন, দুর্যোগে তাদের সহায়তা করুন ইত্যাদি।


অনুসরণ করবেন না বা ভিত্তিহীন সন্দেহ তৈরি করবেন না।


ঈর্ষা তার স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালবাসার একটি চিহ্ন তবে এটি ইসলামের সীমার মধ্যে রাখা উচিত, যেমন অন্যদের অপমান বা গীবত না করা, তাদের অসম্মান করা ইত্যাদি।


আপনি যখন দারিদ্র্য, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এবং কষ্টের মুখোমুখি হন (যেমন আপনার, আপনার স্বামী, আপনার সন্তান, আত্মীয়স্বজন বা সম্পত্তি, যেমন রোগ, দুর্ঘটনা, মৃত্যু, চাকরিচ্যুত হওয়া, ইত্যাদির সাথে ঘটতে পারে এমন দুর্যোগ এবং বিপর্যয়) ধৈর্য ধরুন।


আপনার স্বামীর সাথে সহযোগিতা করুন এবং তাকে বিভিন্ন বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছাসেবী ইবাদতের কথা স্মরণ করিয়ে দিন।


তাকে রাতে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করুন। এককভাবে এবং আপনার স্বামীর সাথে কুরআন শুনুন এবং তেলাওয়াত করুন। আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করুন, বিশেষ করে ফজরের পর এবং মাগরিবের আগে।


নারীদের জন্য ইসলামিক নিয়ম (আহকাম) এবং সদাচার (আদাব) শিখুন।
আপনার স্বামীকে উত্সাহিত করে, বিজ্ঞ মতামত প্রদান করে, তার ব্যথা প্রশমিত করে ইত্যাদির মাধ্যমে তার কার্যকলাপকে সমর্থন করুন।


ঘর পরিষ্কার, সজ্জিত এবং সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখুন।
সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করুন।


ঘর পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত দক্ষতা শিখুন, যেমন সেলাই.কিভাবে শিশুদের সঠিকভাবে এবং একটি ইসলামিক উপায়ে বড় করতে হয় তা শিখুন।তার অর্থ থেকে ব্যয় করবেন না, এমনকি তার অনুমতি ব্যতীত দাতব্যের জন্যও যদি না আপনি নিশ্চিত হন যে তিনি এতে সম্মত হন


বাচ্চাদের সুন্দর আকৃতি, পরিচ্ছন্ন পোশাক ইত্যাদি রাখুন। তাদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আচার-আচরণ ইত্যাদির দিকে খেয়াল রাখুন। তাদেরকে ইসলাম শিক্ষা দিন এবং নবী ও সাহাবীদের গল্প শোনান।
– muslimvillage.com

Next Post Previous Post