ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম কিংবা ইমু হ্যাক করার ৮টি পদ্ধতি এবং হ্যাকিং থেকে বাঁচার সেরা ১৩ টি উপায়

 কিভাবে ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম কিংবা ইমো হ্যাক করা যায়? এবং নিজেকে হ্যাকিং থেকে নিরাপদ রাখার টিপস ২০২৩

আজকে এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন 

  1. কিভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাক করা যায়
  2. কিভাবে হ্যাকিং থেকে নিজের একাউন্ট নিরাপদ রাখবেন
  3. হ্যাকিং টুলস ও এপ
  4. হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়
  5. হ্যাকিং শিখার সাইট
  6. মোবাইল ফোন হ্যাক করার নিয়ম
  7. ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় ২০২৩

ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম কিংবা ইমো হ্যাকিং করার পদ্ধতি  প্রায় একই রকম। যেকোনো আইডি হ্যাক করার ধরন নির্ধারিত, তবে টার্গেট অনুযায়ী ধরন পরিবর্তন হয়। আজকে ৮টি পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের তথ্য দিবো। কোন অবৈধ কাজে এসব কাজে লাগাবেন না। কারো প্রাইভেসি নষ্ট করবেন না।
প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে হ্যাকিং কেনো ? উত্তর হল আপনি যদি জানেন চোর কিভাবে চুরি করে তাহলে চুরি থেকে নিজেকে সেফ রাখতে উত্তম ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন। তাই যারা জানে কিভাবে হ্যাকিং করা হয় তারা হ্যাক এর স্বীকার হয় কম। কারন তারা জানে কোথায় ক্লিক করতে হয় কোথায় ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হয়। কিভাবে হ্যাকাররা লোভনীয় ফাদ পাতে এসব ব্যাপারে জেনে রাখলে ফাদে পড়ার চান্স কমে যায়।

কিভাবে ফেসবুক হ্যাক হয়

আইডি হ্যাক করার ৮টি উপায় 

  1. 1. Keylogger – কি লগার
  2. 2. Cookie Hijacking – কুকি হাইজ্যাকিং
  3. 3. Spoofing/ Cache Poisoning Attack – স্পুফিং
  4. 4. Phishing Attack – ফিশিং এটাক
  5. 5. Man in the Middle Attack – মেন ইন দা মিডল এটাক
  6. 6. USB stealer – ইউএসবি স্টিলার
  7. 7. Social Engineering – সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  8. 8. Shoulder Surfing – শোল্ডার সারফিং

এবার প্রত্যেক টা পদ্ধতির মোটামোটি বিস্তারিত জেনে নিন।

১.কি লগার হ্যাকিং

এটির নাম থেকেই বুঝতে পারা যায় কি লোগিং থেকে এই পদ্ধতি আসছে। আপনি আপনার ডিভাইসের কি বোর্ড/ প্যাডে যা টাইপ করবেন তা হ্যাকার এর কাছে চলে যায়। এর মাধ্যমে হ্যাকার জানতে পারে আপনি কোন ইমেল দিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে আইডি তে লগিন করছেন। ফলে সে সেই ইমেল ও পাসওয়ার্ড ইউজ করে আপনার আইডি হ্যাক করতে সক্ষম হয়।
বিভিন্ন প্রকারের কি লগার পাওয়া যায় তবে সব গুলো ট্রাস্টেড না। দেখা গেলো আপনি অন্য কে হ্যাক করার জন্য নেট থেকে একটা কি লগার ডাউনলোড করলেন!! আসলে সেই কি লগার দিয়ে অন্য হ্যাকার আপনার ডিভাইস ই হ্যাক করে বসে আছে!! পরে সে আপনার বিভিন্ন আইডি/ মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদির তথ্য পেয়ে যাবে!! তাই সাবধান হিহিহি।

২. কুকি হাইজ্যাকিং

এই পদ্ধতি কি লগার থেকে জটিল। আমরা যখন কোন ওয়েব সাইট ভিজিট করি তখন আমাদের ব্রাউজারে কুকি জমা হয়। এখন কেউ যদি এই কুকি ইউজ করে তাহলে আপনি যেসব একাউন্টে লগিন করছেন সেসব একাউন্ট গুলোতে হ্যাকারও বিনা মেইল/পাস দিয়ে লগিন অবস্থায় আপনার একাউন্ট এর এক্সেস পেয়ে যাবে। কুকি কি/কিভাবে এটি ব্যবহার করা যায় এসব নিয়ে আলাদা পোস্ট লিখতে হবে। এখানে বিস্তারিত লিখলে গেলে পোস্ট ইয়া লম্বা হয়ে যাবে!!
আরো জানুনঃ ব্রাউজারের কুকি কি, কিভাবে কেনো?

৩. স্পুফিং

DNS স্পুফিং হলো জঙ্গলে মঙ্গল দেখানো টাইপ এটাক!! সোজা ভাষায় আপনি দেখবেন আপনি Facebook.com টাইপ ওয়েব সাইট এড্রেসে ভিজিট করতে গেছেন কিন্তু আসলে সেই সাইট টি facebook ওয়েব সাইট না। ভিক্টিম মনে করে এটা ফেসবুক, তাই তখন সে ফেসবুকে তার ইমেল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে যায়। তখন সেই মেইল ও পাসওয়ার্ড হ্যাকার পেয়ে যায়! এভাবেই অনেক ভিক্টিম কে ফাদে ফেলা হয়।কম্পিউটার মনে করে সেই সঠিক DNS এ আছে কিন্তু হ্যাকার আসলে স্পুফিং করে কম্পিউটার কে ট্রিক করে এটি করে। DNS Attack সম্পর্কে জানতে হলে DNS কি এটা ভাল ভাবে বুঝতে হবে তাহলে বাকিটা বুঝতে সহজ হয়ে যাবে।

৪. ফিশিং এটাক

এটাও অনেকটা DNS স্পুফিং এর মতই। পার্থক্য হলো ডি এন এস হ্যাক এর পদ্ধতি তে কম্পিউটার কে বোকা বানিয়ে ভুল সাইটে নেওয়া হয় আর ফিশিং এটাকে কম্পিউটার কে না বরং কম্পিউটার ইউজার কেই বোকা বানানো হয়। একই রকম দেখতে ওয়েব সাইটের নাম দেখে অনেকে ভুল করে সেসব ফিশিং সাইটে লগিন ইনফো দিয়ে ফেলে এতে করে আইডির তথ্য হ্যাকার পেয়ে যায়।উদাহরণ হিসাবে ধরুন www.facebook.com এবং www.facebo0k.com একই রকমকিন্তু প্রথম ওয়েব সাইট এর এড্রেস টি হলো সঠিক আর সেকেন্ড এড্রেস টি হলো ফিশিং সাইটের।
এখন কোন সহজ সরল কিংবা এসব ব্যাপারে জানে না এমন কাউকে হ্যাকাররা এসএমএস করে বা অন্য কোন উপায়ে ফিশিং সাইটের লিংক পাঠিয়ে দেয়। টার্গেট ব্যক্তি এড্রেস একটু দেখেই ভাবে ফেসবুক এর লিংক!! তখন সে সেই লিংকে ক্লিক করে এবং লগিন করার জন্য ইমেল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দেয়!আর সেই ইমেল পাস চলে যায় হ্যাকারের কাছে।

৫. সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

হ্যাকিং এর মধ্যে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম একটি পদ্ধতি। কারন এটি যতটা আধুনিক সফটওয়্যার ভিত্তিক তার চেয়ে বেশি সাইকোলজি ভিত্তিক।
এই পদ্ধতি তে হ্যকার বিভিন্ন চালাকির মাধ্যমে টার্গেট এর ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করে থাকে। পরে এসব সব তথ্য একত্র করে আইডির এক্সেস পেতে চেষ্টা করে।


উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে।
আমাদের অনেকেই আছে যাদের ইমেল হয় তাদের নাম ও জন্ম সাল। এখন কেউ যখন কারো জন্ম সাল/ জন্ম দিন কবে এসব জানতে পারে তখন সে ধারনা করতে পারে অমুকের ইমেল কেমন হবে।
অনেকে আছে যারা পাসওয়ার্ড হিসাবে জন্ম সাল তারিখ/ মোবাইল নাম্বার/ গফের নাম/বফের নাম/ নিজের সন্তানের নাম ইত্যাদি ইউজ করে। এখন কারো গফ বা বফের নাম কি/ তার মোবাইল নাম্বার কি/ জন্ম সাল তারিখ ইত্যাদি তথ্য যখন হ্যাকার পেয়ে যায় তখন সে সেসব তথ্য ইউজ করে হ্যাকিং এর চেষ্টা করে।


এছাড়াও সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ একেকজন টার্গেট এর জন্য একেক রকম কৌশল ব্যবহার করা হতে পারে। কোন টার্গেট যদি অনলাইন থেকে টাকা আয় করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে তাহলে হ্যকার তাকে ১৫দিনে ৫০০ ডলার আয় করার টাইপ লোভনীয় অফার দিয়েও ফাদে ফেলতে পারে।
সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিধি বেশ বড় এবং মজার ও। আপনি সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ দক্ষ হতে পারলে আইডি হ্যাকিং এর পিছে সময় নষ্ট করার চিন্তা বাদ দিয়ে আরো বড় কিছু চিন্তা করতে পারবেন হইতো।

৬. শোল্ডার সারফিং

এটা হচ্ছে কারো কাধের উপর দিয়ে তার মোবাইল/ অন্য ডিভাইসে তার গতিবিধি খেয়াল করা। উদাহরণ হিসাবে বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান আজিজ এর বিমান যাত্রার সময়ে সাংবাদিক প্লেনের পিছনের সিটে দাঁড়িয়ে সেনা প্রধান আজিজের কাধের উপর দিয়ে তার মোবাইলে থাকা এসএমএস এর ভিডিও করে!! এটাই শোল্ডার সারফিং।

হ্যাকিং থেকে বাচার নিয়ম

তাই বাসে, আড্ডায়, যেকোনো পাবলিক প্লেসে মোবাইল/ ল্যাপটপ ইউজের সময়ে সতর্ক থাকবেন। আসলে পাবলিক প্লেসে এসব ইউজ না করাই উত্তম।আমার পাসে বসা ব্যক্তি মোবাইলে নেট ব্রাউজ করলে আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় সেদিকে মনোযোগ চলে যায়!! সে দিকে তাকাবো না এটা ধরে রাখতে নিজেকে বাড়তি প্রেসারে রাখতে হয়। এতে আমার ও পাসে বসে থাকা অস্বস্তিকর হয়ে যায় আবার তার মোবাইলে দিকে তাকিয়ে থাকাও অস্বস্তিকর। তার জন্যও আমার জন্যও। তাই কিছু সময় একটু ডিভাইস থেকে বিরত থাকেন। সেফ থাকবেন, পাসের জনকেও অস্বস্তি থেকে বাচতে হেল্প করাও হবে।

৭. ইউএসবি স্টিলার

ইউএসবি স্টিলার আসলে USB তে রাখা কোডিং এর মাধ্যমে ইনফো চুরি করার একটি মাধ্যম। হ্যকার তার ইউএসবি তে ভাইরাস কোড রাখে এবং সেই ইউএসবি ভিক্টিম এর পিসিতে প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটারে আগে থেকেই জমা থাকা লগিন ইনফো চুরি করে নেই।

৮. মেন ইন দা মিডল এটাক

নামের ধরন থেকেই বুঝতে পারছেন মাঝখানে থেকে হ্যাকার হ্যাক করে বলেই এর নাম এমন। আমরা নেট ইউজ করি আমাদের পিসি থেকে আইএসপি এর মাধ্যমে। মেন ইন মিডল এটাকে হ্যাকার টার্গেট ও ওয়েব সাইট এর মধ্যে অবস্থান করে। ভিক্টিম যখন কোন সাইট ভিজিট করে কিংবা কোন ইনফো দেয় তখন সেটা আসল ওয়েব সাইটে যাওয়ার সময়ে মাঝে বসে থাকা হ্যাকার এর মাধ্যম হয়ে যায়। এর ফলে হ্যকার সব তথ্য পেয়ে যায়।
নিচের ছবিটি খেয়াল করুন, মেন ইন মিডল এটাক সহজে বুঝতে পারবেন আশা করি

ইমু হ্যাক

হ্যাকিং থেকে নিরাপদ থাকার ১৩ উপায়

১. সব সময় নিরাপদ লাইন ইউজ করুন। কোন অজানা/ পাবলিক ওয়াইফাই ইউজ করবেন না।
২. যখন কোন সাইটে প্রবেশ করছেন তখন সেই সাইটের এড্রেস ভালো ভাবে একদম ভালো ভাবে লক্ষ করুন। কনফার্ম হোন তারপর লগিন করার দিকে যান
৩. অনলাইনে যত সহজে ডলার টাকা ব্লা ব্লা আয় করার অফার আছে তার সবই ধোকা। তাই এসব থেকে দূরে থাকেন। অনলাইন অফলাইন সব লাইনেই টাকা কামানো কঠিন ব্যাপার। ঘরে বসে ৭দিনে ৫০০ ডলার কামানো গেলে লাখ লাখ মানুষ সকালে থেকে রাত পর্যন্ত জাস্ট ২০০ ডলারের সমান টাকার জন্য ৩০ ডিউটি করতো না। অমুক মেয়ের ভিডিও তমুক নায়িকার গোপন ভিডিও টাইপ লিংকে ক্লিক করবেন না। এগুলো ফাদ।
৪. রেগুলার আপডেট থাকুন। পুরাতন এপ্স/ সফটওয়্যার সাবধানে ইউজ করবেন।
৫. যেখান সেখান থেকে এপ্স/ সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন না। মুভি ডাউনলোড সাইটেও ঘাপলা থাকে। তাই সাবধান।
৬. পাসওয়ার্ড আপডেট করুন। একই পাসওয়ার্ড দিয়ে সব ধরনের একাউন্ট খুলবেন না।নিজের গফ বফ বউ স্বামী সন্তান এসব পাসওয়ার্ড হিসাবে ইউজ করবেন না।
৭. নিজের পার্সোনাল ব্যাপার কে নিজের মধ্যেই রাখতে চেষ্টা করুন। এতে করে সোশ্যাল ইনিজিনিয়ারিং করে আপনাকে বোকা কঠিন হবে।
৮. পারলে ভিপিএন ইউজ করুন। যদিও ভিপিএন নিয়েও কথা আছে(!)
৯. ডিভাইসে ইউএসবি ইউজের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন।
১০. এন্টি ভাইরাস ব্যবহারের চেষ্টা করুন
১১. এডাল্ট সাইট থেকে দূরে থাকুন। এডাল্ট সাইটে পপ আপের মাধ্যমে কিংবা Exclusive ভিডিও ফাদে ফেলে এমন লিংকে নিয়ে যায় যার মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে জোর করে ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দেয়।
১২. পাবলিক প্লেস/ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এ মোবাইল কম ইউজ করতে চেষ্টা করুন।
১৩. মোবাইল/ পিসি খোলা রেখে কোথাও যাবেন না। অনেক সময় আমাদের কাছের কেউ ই আমাদের ক্ষতি করে!!

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়?সতর্ক ভাবে টেক ডিভাইস ইউজ করুন। লোভ থেকে দূরে থাকুন। জ্ঞান অর্জন করুন।


হ্যাকিং শিখার সাইট কোনটা?Udemy আছে। ফ্রিতে অনেক কোর্স পাবেন আশা করি। এছাড়াও ইউটিউবেই অনেক ফ্রি ভিডিও তে ফুল হ্যাকিং কোর্স আছে। তবে এটা মনে রাখবেন ভাল ভাবে হ্যাকিং শিখতে হলে প্রোগ্রামিং ও ভালো ভাবে আয়ত্ত করতে হবে। ভিডিও দেখে ২ক্লিকে হ্যাকিং হয় না। মোবাইল ফোন হ্যাক করার নিয়মফোন হ্যাক হলে কি করব


ফেসবুক হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়উপরের পদ্ধতি গুলো পড়ুন। দেখুন সেখানে ফিশিং সাইট, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখা আছে। সেগুল কিভাবে করা হয় সেটা জেনে নিজেকে সতর্ক রাখতে শিখুন। কোন লিঙ্কে হুট হাট ক্লিক করবেন না। উল্টা পালটা ভিডিও সাইটে যাবেন না, ডাউনলোড করবেন না।
ফেসবুক এর মত দেখতে হলেও লিঙ্কে ক্লিক করার আগে ভালো ভাবে চেক করবেন। পারলে TFA অন করে রাখতে পারেন। 

ইমু হ্যাক করুন ১০০%জানিনা ভাই। ইমু হ্যাক করে আরেকজনের প্রাইভেসি নষ্ট করার দরকার নাই। গফ রে বিলিভ করতে না পারলে ব্রেকাপ করেন। 


ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়  নিজের মোবাইল টা সাবধানে রাখুন। কেউ যাতে আপনার মোবাইলে আসা কোড জানতে না পারে সেটাই কনফার্ম করুন। ইমু হ্যাক অপরিচিত কেউ করার চাইতে আপনার পরিচিত কেউ ই আপনার ইমু হ্যাক করবে এই সম্ভাবনায় বেশি। তাই সতর্ক হোন।

Next Post Previous Post