বাংলাদেশের সুন্দর সুন্দর মসজিদের ছবি পিক চার ডাউনলোড ও নামের তালিকা


তাহারাই মসজিদসমূহ আবাদ করে, যাহারা আল্লাহ্ ও কেয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে।
[সূরা আত-তাওবাহ, আয়াতঃ ১৮]

বাংলাদেশ হলো মুসলিমদের দেশ। হাজার বছর আগে থেকেই এদেশে মুসলিম ও ইসলামের সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ এদেশের আনাচে কানাচে মসজিদ তৈরি করেছে যা আমাদের ইতিহাস সংস্কৃতি কে আরো সুন্দর আরো সম্পূর্ণ করে। 

আজকে এই পোস্টে বাংলাদেশের মসজিদের ছবি ও নামের তালিকা দেওয়ার চেষ্টা করবো সাথে হইতো কিছু বাইরের দেশের মসজিদ ও থাকতে পারে। ( পোস্টের শেষের দিকে) 

দেশের ভিতরের মসজিদের পিক গুলো Muhammad Sajib নামের এক ভাইয়ের ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া। যাবতীয় ক্রেডিট তার। আমি শুধু সেগুলো একত্রে ব্লগে দিচ্ছি মাত্র। মসজিদের শহর ঢাকার ও কিছু ছবি আছে।

 “রমজান মিয়া জামে মসজিদ” কবিরহাট, নোয়াখালী।

“মির্জাপুর শাহী মসজিদ” আটোয়ারী, পঞ্চগড়।

“বাইতুল আমান জামে মসজিদ” হযরতপুর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা,

“বাঘা মসজিদ” বাঘা, রাজশাহী, বাংলাদেশ।

“কুসুম্বা মসজিদ”মান্দা উপজেলা, নওগাঁ, বাংলাদেশ।

“হাটহাজারী শাহী জামে মসজিদ”হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।

“আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ”চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।

“কেন্দ্রীয় মসজিদ”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।

“বাইতুল আমান জামে মসজিদ”
গুঠিয়া, বরিশাল, বাংলাদেশ।

“আতিয়া মসজিদ”
টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ।

“বজরা শাহী জামে মসজিদ”
সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী।

“তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ”
সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।

“খেরুয়া মসজিদ”
শেরপুর, বগুড়া, বাংলাদেশ।

“খনিয়াদিঘি মসজিদ”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ।

“শহীদি মসজিদ”
কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ।

“চাটমোহর শাহী মসজিদ”
পাবনা, বাংলাদেশ।

“মিঠাপুকুর বড় মসজিদ”
রংপুর, বাংলাদেশ।

মসজিদ নিয়ে কিছু কথাঃ

১। দিন কে দিন আমাদের মসজিদ গুলো মসজিদের ঈমাম/ খতীবদের হাত থেকে দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক কমিটির হাতে চলে যাচ্ছে।

মসজিদ কমিটিতে থাকা এসব বেয়াদব গুলো সালাত আদায় তো করেই না উল্টা বিভিন্ন সময়ে ইসলাম এর বিরুদ্ধে গিয়ে মসজিদ কে অবমাননা করে।

খতিব কে অপমান এমনকি গায়ে হাত তোলার রেকর্ড ও আছে।

এসব কুকুর গুলোর কোন মর্যাদা নাই মসজিদ কমিটিতে থাকা তাও শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে থাকে।

এসবের ফলে মসজিদ গুলো ঠিকমত মসজিদের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। 

২। প্রায় মসজিদ গুলোর লোকজন এখন বলতে গেলে প্রতিযোগিতায় নামছে কোন মসজিদ কোনটার চেয়ে জাঁকজমক হবে!! বেশি লাইট বেশি ঝাড়বাতি , এসি, লাইটিং করা ঘড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি।

এসব অতিরিক্ত সাজের কারনে সালাতে মনোযোগ ধরে রাখতেও সমস্যা!!

চোখ খুললেই সামনে থাকে লাল নীল হরেক রকম লাইট দিয়ে সাজানো ঘড়ি, হাবিজাবি ডিজাইন।

এমনিতেই আমাদের সালাতে মনোযোগ ধরে রাখতে হিমশিম খাইতে হয় তার উপর এসব তো মন কে আরো নানা দিকে চিন্তায় ঠেলে দেয়। 

মসজিদ হওয়া উচিত খুবি সিম্পল। সাজ ডিজাইন যদি করতেই হয় তাহলে সেটা মসজিদের বাইরের অংশ তে করুক। 

আমি কেমন মসজিদ চাই?

নিচের কথা গুলো একান্তই আমার। অনেকটা কেমন বাড়ি চাই কিংবা বাড়ি কে কিভবে সাজাবো তেমন চিন্তা আরকি।

আমি যদি মসজিদ দিতে পারতাম তাহলে মসজিদ কে প্রাকৃতিক ভাবে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করতাম।  কালো টাইলস ফ্লোর। মসজিদের চার পাশে ঝাকড়া গাছ যাতে ছায়া পাওয়া যায় সব সময়।

মসজিদের ভিতরের দেয়াল এর কালার হবে কালো। একদম কালো । আর পারলে দেয়ালে শব্দ চুষে নিবে এমন কিছু লাগাতাম ( ফোম/ কর্কশিট) জাতীয় কিছু যাতে সাউন্ড কমে যায়।

সালাতের সময় লাইট বন্ধ থাকবে। একদম অন্ধকার রোধ করতে পিছনের দিকে অল্প আলোর লাইট অন থাকবে।

আমার কল্পনায় মনে হয় এমন পরিবেশেই সালাত/ অন্য ইবাদত এ মন বসবে বেশি। 

আল্লাহ্‌ ভালো জানেন।  

Scroll to Top