এসইও কোর্স শিখুন ও আয় করুন : অন পেজ, অফ পেজ, ব্যাকলিংক

শুরুতে বলে নেই এই পোস্ট একদম নতুন একদম্মম্মম নতুনদের উপযোগী করে করা। এসইও কোর্স শিখানোর জন্য ভেঙ্গে ভেঙ্গে বলা। তাই যারা অলরেডি  এস ই ও নিয়ে কিছু জানা শুনা করে ফেলছেন তারা এড়িয়ে জেতে পারেন। 

এই পোস্টে আমরা দেখবো 

  1. এস ই ও  এর বিস্তারিত মানে, কাজ, ইত্যাদি
  2. কিভাবে এসইও  শিখবেন কতদিন লাগবে 
  3. এসইও  করে টাকা আয় করার উপায় 
  4. অন পেজ অফ পেজ এসইও 
  5. ইমেজ এসইও 
  6. ব্যাকলিংক কাকে বলে কিভাবে করবেন
  7. SEO Friendly ব্লগ পোস্ট লেখার টিপস ইত্যাদি 

অর্থাৎ আমার আজকের এই এক পোস্টে S E O নিয়ে মোটামোটি  সব তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা নতুনদের জন্য জানা দরকার।  

এসইও বলতে কি বুঝায় ?

 এসইও SEO কিংবা  এস ই ও হলো মূলত Search Engine Optimization এর শর্ট ফর্ম। 

আমরা সবাই গুগল কম বেশি ইউজ করে থাকি, এই গুগল হলো একটি সার্চ ইঞ্জিন, এর কাজ হলো আমাদের সার্চ করা টপিক সার্ফেস নেট খুজে তা আমাদের সামনে তুলে ধরা।

ধরুন আপনি সার্চ দিলেন কলা খাওয়ার উপকারিতা! গুগল কিন্তু নিজে আপনাকে এই টপিকে কিছু বলবে না, গুগল যা করবে তা হলো অন্যদের সাইটে যারা কলা খাওয়া নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করছে তাদের ওয়েব পেজ কে খুজে আপনার সামনে রেজাল্ট দেখাবে।

সার্চ ইঞ্জিন এর কাজ মূলত এটাই। সার্চ করা শব্দ বা বাক্যর রিলেটেড পেজ আপনাকে দেখানো।

গুগল ছাড়াও ইয়াহু বিং ডাক ডাক গো ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিন আছে। তবে গুগল এখন সবার বস!

এসইও  এর উদ্দেশ্য হলো আপনার সাইট কে ঐ সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে আসা।

কেনো এস ই ও দরকার ?

আপনি কিছু সার্চ দেওয়ার পর গুগলের সব পেজ দেখেন নাকি প্রথম ২/৩ টা সাইটে ঢুকেই আপনার টপিক খুজে নেন? অবশ্যয় প্রথমে থাকা কয়েকটা সাইটেই আপনি প্রবেশ করেন আর নিচের দিকে থাকা সাইটে তেমন যান না।আর এসইও করে ঐ গুগলের দেখানো প্রথম কয়েকটা রেজাল্টের মধ্যে নিজের সাইট কে আনায় মূলত এস ই ও এর উদ্দেশ্য।

ছবিতে দেখুন কলা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে কত রেজাল্ট আছে । আর প্রথম পেজে দেখাচ্ছে মাত্র ১০ টা রেজাল্ট আর আমরা সেই ১০ রেজাল্টের প্রথম কয়েকটা সাইট ঘুরেই চলে আসি! বাকি গুলো ফাকা!

নিজের সাইট কে ফাকা থেকে উপরে আনার জন্য আপনাকে জানতে হবে SEO কি কাকে বলে কিভাবে করে এসব। 

SEO এর মূল কথা সার্চ ইঞ্জিন কে অপ্টিমাইজ করা! 

এসইও কোর্স থেকে শিখতে কতদিন লাগবে?

সার্চ ইঞ্জিন রেগুলার আপডেট হয় তাই SEO এর টেকনিক গুলোও আপডেট রাখতে হয়। এজন্য একজন এস ই ও এক্সপার্ট ধরতে গেলে সব সময় ই শিখতে থাকে।

তবে যারা নতুন, তাদের SEO এর ব্যাসিক শিখার জন্য আমার মতে ২ মাস যথেষ্ট। তবে আমি বলবো কোথাও থেকে ব্যসিক শিখার জন্য কোর্স কেনার আগে বা জয়েন করার আগে এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ুন আর পোস্ট টা পুরাটা পড়া শেষ হলে শামিম ভাই এর Nshamim.com ব্লগে খাতা কলম নিয়ে বসবেন। এক মাস মন দিয়ে তার সাইটের সব ভিডিও সিরিয়ালি দেখবেন। নোট করবেন, নিজের সাইটে প্রেক্টিকাল করবেন। ইনশা আল্লাহ্‌ আর কোর্স করতে টাকা খরচ করা লাগবে না।

এবার আসুন ধাপে ধাপে এস ই ও নিয়ে একটা একটা করে জানি।

সাইটের নিশ বা টপিক সিলেক্ট করা

আপনি সব টপিকে সমান জ্ঞান রাখেন না। কেউ Nature Photography ভালো জানে, কেউ খাবার রান্না, পরিবেশন সম্পর্কে জানে আবার কেউ রাজনীতি সম্পর্কে ভালো বুঝে। আপনি আপনার জানাশোনা টপিক বেছে নিবেন যাতে ব্লগে লিখতে পারেন। কেউ কিছু জানতে চাইলে জানাতে পারেন।এজন্য সাইট কোন টপিকে হবে সেটা সিলেক্ট করে নিতে আগে সবার আগে। এসইও এর ভাষায় একে নিশ সিলেক্ট করা বলে। 


ডোমেন নেম সিলেক্ট ঃআগেই বলেছি এই এক পোস্ট পড়েই যাতে SEO নিয়ে মোটামোটি সব জানতে পারেন তার চেষ্টা করবো, তাই আগে এটা জেনে পরে ঐটা কইরেন টাইপে না গিয়ে সোজা ডোমেন কিনে ব্যাবহারিক হিসাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তাই এই ধাপে আমরা আমাদের নির্ধারিত নিশ অনুযায়ী ডোমেন কিনবো। ডোমেন হলো  .com/ .imfo/ .org টাইপ যেসব লেখা আমরা সাইটের নামের শেষে দেখি সেসব। যেমন আমাদের সাইট হলো Dhurr24.com এখানে ডট কোম হলো  এক্সটেনশন আর পুরা ডোমেন নেম হলো ধুর২৪ ডট কম। ধরে নিন আপনি ইসলাম টপিকে সাইট করবেন তাই আপনার সাইটের ডোমেন নেম নিলাম IslamBangla.com 


CMS Select : আপনার সাইট কি ওয়ার্ড প্রেসে করবেন নাকি ব্লগারে নাকি অন্য কোন প্লাটফর্মে ? আমার মতে প্রথম সাইট শিখার জন্য ব্লগার ঠিক আছে! আমার সাথে অনেক সিনিওর ভাই দ্বিমত করবেন কিন্তু আসলে যারা একদম নতুন তারা টেকনিক্যাল SEO শিখার আগে প্রথমে Basic শিখুক। ব্লগারে ব্লগ করলে বেসিক ব্যাপার গুলোর দিকে সহজে মন দেওয়া যায়। টেকনিক্যাল ঝামেলা নাই। 
যেহেতু আপনি নতুন তাই আপনি ব্লগারে ব্লগ সাইট খুলুন। 


আগে আপনি যে ডোমেন কিনছেন IslamBangla.com সেটা ব্লগারে সেটাপ করেন। কিভাবে ডোমেন সেটাপ করবেন তার অনেক ভিডিও আছে। তাও না পারলে ঝামেলা হলে ডোমেন প্রভাইডারকে নক দেন তারা দেখবে।
ডোমেন সেটাপ হয়ে গেলে ব্লগে থিম আপলোড করেন।গুগলে Blogger Free theme লিখে সার্চ দেন, অনেক পাবেন। এর মধ্যে আপনার পছন্দ মত থিম সিলেক্ট করে ব্লগারে আপলোড করুন। থিম সিলেক্ট এর ক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন বেশি ভারি আহামরি ডিজাইন এসব এড়িয়ে যাবেন, সাদা মাটা হালকা ঠিম নিবেন।

ব্লগার নিয়ে ভিডিও ফ্রি টিউটোরিয়াল ঃ লিংক 

ব্লগ রেডি এবার পরের ধাপ …
কন্টেন্ট লেখা এবং অন পেজ এস ই ও রিলেটেড ধাপ।

কি ওয়ার্ড রিসার্চ ঃ

আপনি যে নিশে লিখবেন সেটা নিয়ে মানুষ কোন কোন শব্দ বাক্য দিয়ে গুগলে কি খুজছে তা নিয়ে রিসার্চ করাই হলো কি ওয়ার্ড রিসার্চ। “ইসলামিক ছবি” একটি সার্চ টার্ম, মাসে কয়বার গুগলে এই কি ওয়ার্ড সার্চ করা হয়, বছরে এভারেজে কতবার সার্চ করা হয়, এই কি ওয়ার্ড এর কম্পিটিশন কেমন, এই কি ওয়ার্ড এর সিমিলার সার্চ টার্ম কি কি  এসব নিয়ে রিসার্চ করাকে কি ওয়ার্ড রিসার্চ বলে। কি ওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অনেক গুলো টুলস আছে, আবার ম্যানুয়ালিও করতে পারবেন।যেহেতু আপনি নিউবি সেহেতু আপনি ফ্রি তে পাওয়া টুলস ইউজ করে কি ওয়ার্ড রিসার্চ করবেন।

Keyword Research এর জন্য ফ্রি তে পাওয়া টুলস এর বেস্ট হলো গুগল কি ওয়ার্ড প্ল্যানার। গুগলে Keyword Planner লিখে সার্চ দেন, সাইট পেয়ে যাবেন। এরপর নরমাল নিয়মে সাইন ইন করে সাইটে প্রবেশ করেন, ভাষা, দেশ সিলেক্ট করে আপনার মন মত কোন শব্দ লিখে এন্টার চাপুন। দেখুন গুগল আপনাকে আপনার দেওয়া শব্দ কয়বার সার্চ করা হয়, ঐ শব্দের সিমিলার শব্দ বা বাক্য কি কি সার্চ করা হয় এসব দেখাচ্ছে।
আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত কি ওয়ার্ড বেছেন নেন। এটা কে ফোকাস করেই ব্লগ পোস্ট লিখতে হবে।
ধরে নিলাম আমরা “ইসলামিক ছবি ডাউনলোড” এই কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করছি। এবার আমাদের কাজ পোস্ট লেখা।
কি ওয়ার্ড রিসার্চ ভিডিও দেখুন ঃ Keywords Research 

কন্টেন্ট রাইটিং ঃ অন পেজ এস ই ও 

কন্টেন্ট লেখার সময়েই মাথায় On Page SEO রাখতে হবে। আপনার পোস্ট ইসলামিক ছবি নিয়ে আর আপনি যদি ইসলামিক নাত নিয়ে রচনা লেখেন তাইলে তো হবে না।আপনাকে আপনার সিলেক্ট করা কি ওয়ার্ড অনুযায়ী পোস্ট এর টাইটেল, সাব টাইটেল, লিংক, মেটা এসব লিখতে হবে।
আপনার সিলেক্ট করা বাক্য কে পোস্ট এর প্রথম পেরা তে রাখার চেষ্টা করুন। টাইটেলে রাখুন। মূল লেখার মধ্যে কয়েকবার ইউজ করুন। তবে জোর করে বেশি দিয়েন না।আপনার কি ওয়ার্ড ইসলামিক ছবি এই কি ওয়ার্ড এর সিমিলার যেমন “বাংলা নতুন ইসলামিক ছবি””ফেসবুক ইসলামিক পিক ” এসব কি ওয়ার্ড গুলোও লেখাতে এড করার চেষ্টা করুন।


কি ওয়ার্ড এর রেজাল্টে থাকা অন্য সাইট যদি ৫০০ শব্দের পোস্ট লিখে তাহলে চেষ্টা করুন আপনি ৭০০ শব্দের বেশি লেখার। এতে করে সহজে উপরে আসার চান্স থাকবে।
মূল পোস্টে রিলেটেড লিংক যুক্ত করবেন। নিজের সাইটে থাকা অন্য পোস্ট এর লিংক ও এড করে দিবেন। একে ইন্টার লিঙ্কিং বলে। আর অন্য ব্লগকে লিংক দিলে সেটা আউটবাউন্ড লিংক।


কিভাবে লিংক এড করবেন এটা বুঝতে না পারলে আমাদের ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন। ভিডিও লিংক ঃ 


আপনার কি ওয়ার্ড ছিলো ইসলামিক ছবি!! তো ঐ শব্দে লেখা তো লিখলেন কিন্তু ছবি কই?এবার পোস্টে ছবি এড করতে হবে। ছবি ইউনিক হলে গুগলে রাঙ্ক করতে চান্স থাকবে।


ছবি গুলো ব্লগে আপলোড করার আগে কি ওয়ার্ড অনুযায়ী ছবির নাম গুলো রিনেম করে নিবেন। আপলোড করার পর ছবির টাইটেল, alt name এসব দিবেন। এস ই ও তে ইমেজ অপ্টিমাইজ বলে একটা কথা আছে। ব্লগে থাকা ছবি কে সার্চ ইঞ্জিনে Rank করানোর জন্য অপ্টিমাইজ করাকে ইমেজ অপ্টিমাইজ বলে। ঐ যে বললাম ইউনিক ছবি, ছবির নাম ঠিক করা, ব্লগে আপের পর টাইটেল অল্টার নেম এসব দেওয়া …. সোজা কথায় এগুলো কেই ইমেজ অপ্টিমাইজ করা বলে। 


ব্লগ পোস্ট লেখা হলো, লিংক করা হলো ছবিও অপ্টিমাইজ করা শেষ।এবার পরের ধাপ। এই ধাপে পোস্ট এর PermaLink , meta, Tag এসব কিভাবে করতে হবে তা জানবেন।


আপনার পোস্ট এর কি ওয়ার্ড অনুযায়ী ব্লগ পোস্ট এর লিংক করবেন। ব্লগারের এর ডান দিকে দেখেন Permalink , level, search description ইত্যাদি লেখা আছে। একটা একটা ক্লিক করেন আর কি ওয়ার্ড অনুযায়ী সেট করেন।আপনার কি ওয়ার্ড ইসলামিক ছবি সেহেতু আপনি পারমালিঙ্ক দিবেন Islamic-Pic / Islamic-Photos টাইপের। অর্থাৎ কি ওয়ার্ড কে লিঙ্কে রাখবেন। তবে পুরা টাইটেল কে আবার লিঙ্কে দিতে জায়েন না, লিংক ছোট রাখবেন।
সার্চ ডেসক্রিপশনে আপনার লেখা ব্লগ পোস্ট এর সামারি দেন। পোস্ট কি নিয়ে লেখা কি কি আছে  এসব সংক্ষেপে লিখে দেন। 
এই পোস্ট সামারি কে অন্য জায়গায় মেটা ডেসক্রিপশন বলে। 

শেষ!! আপাতত পোস্ট পাবলিশ করার জন্য প্রস্তুত। 

পাবলিশ বাটনে চাপ দেন।

এক পলকে কাজ গুলো আবার দেখি। 

  1. নিশ ঠিক করা হইছে,
  2. ডোমেন সেটাপ হয়ে গেছে
  3. ব্লগে থিম আপলোড, ডিজাইন হয়ে গেছে
  4. কি ওয়ার্ড রিসার্চ করা হইছে
  5. ব্লগ লেখা, ছবি আপলোড, 
  6. অন পেজ এসইও মোটামোটি শেষ!!!

এবার পরের ধাপে আসেন। অফ পেজ এস ই ও এই ধাপে যাওয়ার আগে ব্লগে আরো কিছু লেখা পাবলিশ করে নিবেন।
উপরে বলা কাজ গুলোর ভিডিও দেখুন ঃব্লগে পোস্ট পাবলিশ শুরু থেকে শেষ 

অফ পেজ এস ই ও কাকে বলে? 

শব্দ গুলো লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন অন পেজ অফ পেজ এসব কি।অন পেজ হলো ব্লগ পেজে করা অপ্টিমাইজেশন আর অফ পেজ হলো ব্লগ পেজের বাইরে অপ্টিমাইজেশন। 
ঐ যে শুরুতে বলছিলাম এই পোস্ট একদম নতুনদের জন্য!! সেই বলা ঠিক রেখে অন পেজ এস ই ও এর মানে বললে  বলবো আপনার সাইটের জন্য লিংক তৈরি করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সাইটের উপস্থিতি রাখা এসবই অফ পেজ এসইও।
ব্লগ পোস্ট লেখার সময় বলেছিলাম ইন্টারলিঙ্কিং আউটবাউন্ড লিংক ইত্যাদি!আপনি যে আপনার লেখা ব্লগ পোস্টে আরেক সাইটের লিংক এড করলেন সেটা হলো ঐ সাইটের জন্য Backlink। ব্যাক লিংক কয়েক ভাবে করা হয়।যেমন

  • গেস্ট ব্লগিং
  • কমেন্ট লিংক
  • ফোরাম ব্যাক লিংক
  • সোশ্যাল মিডিয়া 
  • ওয়েব ২.০
  • ইত্যাদি 

আপনার এবার কাজ হবে আপনার সাইটের জন্য বিভিন্ন ভালো ভালো পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোতে একাউন্ত খোলা, সেখানে ওয়েব সাইটের লিংক এর স্থানে আপনার সাইটের লিংক এড করা।
আপনি যে টপিকে ব্লগিং করবেন সেই একই টপিক কিংবা আশ পাশের টপিকের অন্য সাইটের এডমিন দের সাথে যোগাযোগ করে গেস্ট পোস্ট করা।

গেস্ট পোস্ট কি? 

গেস্ট মানে অতিথি এটা তো বুঝেন? আপনি আমার বাড়ি বেড়াতে আসলে আপনি হলেন গেস্ট! একই ভাবে আপনি আরেক জনের সাইটে গিয়ে কোন পোস্ট লিখে পাবলিশ করলে সেটা হলো গেস্ট পোস্ট!গেস্ট পোস্ট করা হয় মূলত সেই সাইট থেকে লিংক নেওয়ার জন্য।অর্থাৎ আমি আপনার সাইটের জন্য ভালো ইউনিক ব্লগ পোস্ট লিখে দিবো বিনিময়ে আপনি আপনার সাইট থেকে আমার সাইটে লিংক এড করে দিবেন।পান্তাভাত ভাষায় এটাই হলো গেস্ট পোস্ট!! 


এখন আপনি আপনার টপিকের অন্য সাইট গুলো খুজে বের করেন। সাইট গুলোর এডমিন দের সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের কেউ গেস্ট পোস্ট নেয় কিনা দেখেন।  কেউ রাজি হলে তার সাথে বিস্তারিত জেনে নেন সে কোন টপিকে কেমন লেখা চাই ইত্যাদি ইত্যাদি।তার চাওয়া অনুসারে লেখা লিখে দেন এবং তাকে বলে দেন আপনি কোন পোস্ট এর জন্য লিংক চান , কি শব্দে লিংক করবে এসব।
সে পোস্ট করলে আপনার একটা গেস্ট পোস্ট হয়ে গেলো সাথে পেলেন আপনার সাইটের জন্য নতুন  ব্যাক লিংক!! 

ফেসবুক টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল সাইটে একাউন্ট খুলে সেখানে সাইটের লিংক দিছেন?

গেস্ট পোস্ট করছেন?

এবার আরেকটা  অফ পেজ বা ব্যাক লিংক নিয়ে কথা বলি, সেটা হলো কমেন্ট বাক্লিঙ্ক।

বিভিন্ন সাইটের পোস্টের শেষে কমেন্ট দেখা যায় দেখছেন কখনো? 

আপনার কাজ হবে আপনার সাইটের টপিকের সাথে মিলে এমন সাইট খুজে বের করা যেসব সাইটে কমেন্ট করা যায়।

খুজা শেষে তাদের পোস্ট পড়ে সঠিক ভাবে কমেন্ট করেন।

নাইস, ভাল ছিলো এসব এমন কমেন্ট করবেন না। লাভ নাই এতে।

ভালো কমেন্ট করবেন যাতে কমেন্ট টা এপ্রভ হয়, অন্য রিডাররা পড়ে।

ঐ কমেন্টে নাম ইমেল ওয়েব সাইট দেওয়ার ঘরে আপনার সত্য মিথ্যা (!) ইনফো দেন আর ওয়েব সাইট এর ঘরে আপনার সাইটের নাম দেন ( সাইটের এড্রেস) 

অন পেজ এস ই ও এর বিস্তারিত

অন পেজ হলো পেজ পর্যায় এসইও করা। এই যে আমার এই ব্লগ পোস্ট পড়ছেন এটা একটা ওয়েব পেজ, এখানের লেখা , টাইটেল, ছবি, এসব সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য অপ্টিমাইজ করাই হলো অন পেজ অপ্টিমাইজেশন। 

গুগলের প্রথম পেজে আসার জন্য সঠিক ভাবে অন পেজ অপ্টিমাইজ করা বেশি জরুরী। কারন ইউজার দেখেনা আপনার Backlink কয়টা আপনার গেস্ট পোস্ট কয়টা করছেন। ইউজার আপনার পেজের লেখা, ছবি, ভিডিও এসব দেখে। ইউজার যদি খুশি হয় তাইলে গুগল ও খুশি!! 

এজন্য অন্য কোন দিকে মন দেওয়ার আগে On Page SEO এর দিকে বেশি মন দেন, সময় দেন।

ইমেজ অপ্টিমাইজেশন কি কিভাবে করবেন?

ইমেজ ছবি অপ্টিমাইজ হলো ছবি কে আপনার কি ওয়ার্ড অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা। এর জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না, জাস্ট ছবিটা ইউনিক হলে ভাল হয় + ইমেজের ফাইল নেম কি ওয়ার্ড এর সাথে মিল রেখে করবেন। আপলোড করার পর টাইটেল নেম অল্টার নেম , ক্যাপশন এসব কি ওয়ার্ড বেজ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ছবির মান একদম খারাপ হবে না আবার ভালো ছবির জন্য ভারি ভারি ছবিও দিবেন না এতে সাইটের লোডীং স্পিড কমে যাবে।

কমেন্ট ব্যাক লিংক ঃ কি কিভাবে করবেন?  

অন্য সাইটের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে লিংক ড্রপ করে আমরা যে ব্যাক লিংক করে থাকি সেগুলোই হলো কমেন্ট ব্যাক লিংক। এই ব্যাকলিংক তেমন কাজের না হলেও ব্যাল্যান্স রাখার জন্য কিছু করা ভালো। তবে স্পাম করলে আপনার সাইটের ই ক্ষতি।

যে পোস্টের কমেন্টে বেশি পরিমান কমেন্ট করা হয়ে গেছে, কমেন্টে প্রচুর সাইটের লিংক জমা হয়ে গেছে সেসব পোস্টে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকবেন।

এখন ধরে নিলাম একদম নতুন হিসাবে আপনি উপরে বলা কাজ গুলো বুঝছেন কিংবা কিছুটা করার চেস্টাও করছেন। ব্লগে ট্রাফিক পাবেন কি করে?

আপনি মাসে ১০০০ বার সার্চ হয় এমন ৫০ টা কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করে ৫০ টা পোস্ট লিখলেন আর উপরের কাজ গুলো করলেন। এমন হলে আশা করা যায় প্রতিদিন ২০০-৪০০ ট্রাফিক পাওয়া কঠিন হবে না। কন্টেন্ট যদি ভালো হয় বাউন্স রেট কম হলে পেজ ভিউ ও সে অনুসারে বাড়বে।

SEO এসইও করে টাকা আয় করবেন কিভাবে?

   ভালো মত শিখতে পারলে টাকা ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু পথ আছে।নিচে সেগুলো নিয়ে পয়েন্ট আকারে আলোচনা করছি। আপনারা নিজের জন্য ভালোটা ঠিক করতে পারেন। 

এটা একটা ব্রড ব্যাপার। SEO তে এখানে আপনি যদি জাস্ট একটা সাইটের এস ই ও ঠিক মত চেক করতে পারেন তাহলে সাইটের অডিট করেই টাকা আয় করতে পারবেন।

আবার যারা অফ পেজে ভালো পারবেন তারা অন্যদের সাইটের জন্য ব্যাকলিংক করে টাকা আয় করতে পারবেন।

SEO Friendly আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এই কয়েকটা উদাহরণ দিলাম। বাস্তবে এস ই ও করে টাকা আয় করার আরো অনেক গুলো পথ আছে কিন্তু তার জন্য আপনাকে সেসব শিখতে হবে ভালো করে।

আবার নিজের জন্য আলাদা সাইট করে সেখানে ভালো মানের ট্রাফিক এনে স্পন্সর এড দেখিয়ে, এফিলিয়েট করে কিংবা নিজের পণ্য সেল করেও টাকা কামানো সম্ভব।

যদি নিজের সাইট খুলে মূল ইনকাম সোর্স করতে না চান, ফ্রিলান্সিং করতে চান তাহলে ফাইভারে আপ ওয়ার্ক এ কাজ করতে পারেন। 

তবে যেখানেই কাজ করেন আপনি যদি ঠিক মত কাজ না শিখেন টপ লেভেলের এক্সপার্ট না হোন তাহলে দাড়াতে পারবেন না।

ক্লিক করে টাকা কামানো এখানে সম্ভব না। 

Leave a Comment